নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর ॥ দীর্ঘ ২৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সিদ্ধান্ত হয়নি কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক নূরনবী কার কাছে মানুষ হবে। কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে ছুটি হওয়ার পর গত এক সপ্তাহ যাবত মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম মিজানুল হকের স্ত্রী মাতৃস্নেহ দিয়ে নবজাতকটিকে তার বাসায় লালন পালন করছেন। পুলিশ হেফাজতে থাকা শিশুটির কে হবেন বৈধ অভিভাবক তা নির্ধারণ করবেন আদালত।
গত ৪ এপ্রিল মির্জাপুর উপজেলার বন্দে কাওয়ালজানী গ্রামে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতকটিকে একটি পলিথিনের ব্যাগে ভরে রাস্তার পাশে কে বা কাহারা ফেলে যায়। ওই গ্রামের প্রাতভ্রমনকারী শিক্ষক হুমায়ুন কবির ও সাইফুল ইসলাম নবজাতকটিকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। এই খবর প্রচার হলে অনেক দম্পতি নবজাতকটিকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে বলে মির্জাপুর থানা কর্তৃপক্ষ সবাইকে জানিয়ে দেন। এলাকাবাসী শিশুটির নাম রাখেন নূরনবী।
এদিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি হওয়ার পর শিশুটিকে মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক নূরনবীকে নিজের বাসায় নিযে আসেন। আজ শনিবার ওসি মিজানুল হকের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে তার স্ত্রী শিশুটিকে এক সপ্তাহ যাবত মাতৃস্নেহ দিয়ে লালন পালন করছেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, আদালতের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। আদালতের নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।