প্রণয় পরিণতি
মৃতের আদলে এই যে ছড়িয়ে আছো প্রবীণ কদমপাতা,
মাটির ক্ষতে ভারী প্রলেপ হয়ে, তৃপ্ত ঘাসের আদরে,
সে আমার অগোচরে। টুপটাপ আত্ম বিসর্জনের আগে
জানাতে পারতে, যদিও জানিই, ওই বুকে লেপটে থাকার
গোপন কাহিনী, বায়ুরোষ ঠেলে কেবল নিম্নগামী থাকো
কার প্রেমে! বৃতান্ত বয়ান করলে কাব্য হয় না, তাই রহস্য
তোমাদের দ্বৈতকাব্যে। কত সামান্য অথচ সতর্ক,
যতটা আমিও পারিনি!
কিছু কবিতার গভীরে বীজের মতোই লুকানো থাকে প্রেম,
সাবধানতার ছিদ্র গলে কুলফুল মতো উঁকি দেয়, অতঃপর
সিন্ধু মতো প্রকাশিত হয়ে উড়তে থাকে জনারণ্যে লোকালয়ে,
নির্লজ্জ রেশমিসুতার মতো। ছন্দভঙ্গের বহু ব্যর্থদায় কাঁধে নিয়ে
সময় আমাকে প্রতিদিন ছুড়ে ফেলে দেয় র্ককশ রোদের দিনে!
পরিণত তলানী
কাঁটাতারগুলি গুটিয়ে নাওনি,
আমাকে প্রাণঘাতী ভেবে-
নিজের চারপাশে মেরেছ নিরাপত্তা পেরেক,
জানতেই ‘লোহা’কতটা বিদ্যুৎ পরিবাহী!
মনুষ্য শরীরও পানিপূর্ণ গ্যালন বৈ কি!
লোহার শরীর জড়ালে তুমিও জড়াও!
প্রকৃতি দাঁড়িয়ে থাকে সাক্ষীর সোপানে,
মৃত্যুগড়ল এগিয়ে দিয়েছো নিজ হাতে,
প্রতিদিন গ্লাস গ্লাস! স্বেচ্ছায় করিনি পান?
এই বিষের নেশায় হেঁটে আসিনি মাইল মাইল কাঁচাপথ?
যে পথে অদৃশ্য সুতায় এখনো ঝুলে আছে যাদু মোহ!
পুরনো হলেও শেকড়ের মায়া তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে
চুম্বকের মতো টেনে আনে পরিণত তলানীর দিকে!
তথাপি বৃত্ত আবর্তনে শরৎ এলেই চড়কা ছিড়ে চাঁদের বুড়ির
সুতোগুলো উড়ে আসে, পোষা পায়রার মতো আঙ্গুলে জড়ায়।
শীর্ষ সংবাদ: