ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবসের আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

উন্নয়ন বজায় রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

 উন্নয়ন বজায় রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সফল উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ধারাবাহিক শাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্ত্বেও ইতিহাস অনুসারে বাঙালী পরিবর্তনে বিশ্বাসী। এক সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ইতিহাস খুব কম। আওয়ামী লীগ টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। শুধু আমরা নয়, এই উন্নয়নের বিবরণে পঞ্চমুখ হয়ে আছেন আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদরা। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বাংলাদেশের দারুণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বর্ণনা দিয়েছেন। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের বিকল্প নাই। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে দেশের জনগণ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৮তম কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডাঃ ফয়েজ আহমেদ, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশন প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডাঃ মোঃ আবুল হাশেম খান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডাঃ ভ্যালেরিয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবলু কুমার সাহা প্রমুখ । কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু আর তা বাস্তবায়ন করেছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধনের ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যাপক অবদান রয়েছে। আর এ স্বপ্নটি বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। আর তা বাস্তবায়ন করে তেরো হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছুদিন আগে আপনাদের আন্দোলনের মাধ্যমে প্রকাশিত দাবি মেনে নেয়ার জোরালো আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা ক্লিনিকের বাইরে গিয়েও তাদের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কিন্তু মনে রাখবেন মাঝখানে অন্য সরকার এসে আপনাদের চাকরি খেয়েছিল। আর আপনাদের আবার ফিরিয়ে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই আপনাদের আরও উন্নতি চাইলে এই সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের অত বেশি অর্থ নেই। তারপরও আমাদের যতটুকু সাধ্য আছে তা দিয়ে আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। কিছুদিন আগেও আমরা সারাদেশে ১০ হাজার নার্স ও ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আরও ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেব। ওষুধ শিল্পে আমরা ব্যাপক সফলতা ও উন্নতি লাভ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়ন আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। লাইন ডিরেক্টর ডাঃ মোঃ আবুল হাশেম খান জনকণ্ঠকে জানান, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম যা বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, দেশে-বিদেশে নন্দিত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ কাছাকাছি কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা পাচ্ছেন। এটি জনগণ ও সরকারের যৌথ উদোগে বাস্তবায়িত একটি কার্যক্রম। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচীতে কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশনাল প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতা ও সেবার মান বেড়েই চলেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছে দেশের সাধারণ মানুষ। বাড়ির পাশেই বিনামূল্যে মিলছে স্বাস্থ্যসেবা বলে জানান ডাঃ মোঃ আবুল হাশেম খান। এ দিকে পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগারগাঁওস্থ চক্ষু হাসপাতাল মিলনাতনে ভিশন সেন্টার এবং অপথালমোলজিক্যাল নার্সদের ট্রেনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক অদ্যাপক ডাঃ গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, বিএসএমএমইউএর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ শরফুদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
×