ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

উবাচ

একা স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০০৯ এ নির্বাচনের আগে আগে তাকে জোট করতে দেখা গিয়েছিল। সেই জোটের আয়ু খুবই স্বল্প সময়ের ছিল। এরপর বহুবার জোটের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আর জোট হয়নি। তিনি এখন একাই আছেন। তিনি দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন দেশে ‘পাইকারি হারে লুটপাট’ চলছে। তার বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলনে নামবেন। তিনি বলেছেন আমি অন্তত নিষ্ক্রিয় থাকব না। আমি একা হলেও গুলিস্তানে সামনে গিয়ে বলব, এই দেশকে এভাবে দেউলিয়া করা যাবে না। ড. কামাল হোসেনের যৌবনের গুলিস্তানের সঙ্গে আজকের গুলিস্তানের অনেক পার্থক্য। এখন গুলিস্তানে হাজার হাজার না লাখ লাখ মানুষের ভিড়। সেখানে মানুষের একা হওয়া খুব কঠিন। নিঃসন্দেহে ড. কামাল হোসেন সেখানে গেলে অন্য রকম অনুভূতি সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তিনি যাবেন কি না। তিনি যেভাবে রাস্তায় নামতে চেয়েছেন নতুন প্রজন্মের কেউ তাকে সেভাবে কোন দিন রাস্তায় দেখেনি। তিনি রাস্তায় নামেন ঠিকই তবে দামী গাড়ির কালো গ্লাসে নিজেকে আড়াল করে। আরও অনেকে স্টাফ রিপোর্টার ॥ এ কথা তিনি আগেও বলেছেন বিএনপির অনেকেই চলে আসছেন জাপায়। কিন্তু সেভাবে কেউই আসছেন না। জাতীয় পার্টিতে (জাপা) যোগ দিয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এটিএম আলমগীর। জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাকে দলে ভিড়িয়ে বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি তার দলে যোগ দেবেন। জাপায় যোগ দিতে অনেকেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাত্র ২৪৫ ভোট পান এটিএম আলমগীর। এরশাদ বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই, বিএনপির অবস্থা ভঙ্গুর। আগামী নির্বাচন জাপার জন্য সুবর্ণ সুযোগ। তাই দেশপ্রেমিক রাজনীতিকরা জাপায় যোগ দিচ্ছেন। বীরের বেশ স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির পাসপোর্ট জমা দিয়ে নাগরিকত্ব হারানো ভোটাধিকার খোয়ানো নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনদিন দেশে ফিরলে বীরের বেশেই ফিরবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনÑ তারেক রহমান দেশে ফিরলে কীভাবে ফিরবেন সে সম্পর্কে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তিনি বলেননি কোন বীরের বেশে তারেক রহমান ফিরে আসবেন। কারাগারে যাওয়ার ভয়ে যে নেতা নিজের কর্মী-সমর্থকদের ফেলে বিদেশে আয়েশী জীবনের জন্য পলিয়ে থাকেন, আর যাই হোক তাকে বীর বলা চলে না। এজন্যই মেকাপআর্টিস্ট দিয়ে নির্দিষ্ট বীরে রূপান্তরিত হতে হবে আগে। আইনত সাজাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সরাসরি রাজনীতি করতে পারেন না। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম তারেক রহমান। প্রসঙ্গত খালেদা জিয়া দুর্নীতি করার জন্য জেল খাটছেন একই অপরাধে তারেক রহমানেরও সাজা দিয়েছে আদালত। খালেদা জিয়া দুর্নীতির জন্য কারাবন্দী হলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের পদটি এখন খলেদা পুত্রের দখলে চলে যায়। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় যদি মায়ের পদ যায় তো পুত্র সেই পদে কি করে বসেন। লন্ডন থেকে যেমন দেশে ফোন করা যায় একইভাবে জেলেও ডিজিটাল সরকার মোবাইল ফোনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেখান থেকে খালেদা জিয়াতো তাহলে চাইলেই দল পরিচালনা করতে পারেন। যেহেতু দুজনই সাজাপ্রাপ্ত তাই এই সুবিধা এককভাবে তারেক রহমান ভোগ করায় খালেদা জিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিএনপি রাজনীতির ময়দানে যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলে এক্ষেত্রে তারা নিজেরাই তা মানছে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, লন্ডন থেকে তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি ফিরবেন কিন্তু শেখ হাসিনা যেভাবে চান, সেভাবে নয়। তারেক জিয়াকে বীরের বেশে এ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
×