ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে প্রার্থীদের গণসংযোগ, প্রচারে সরগরম খুলনা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

গাজীপুরে প্রার্থীদের গণসংযোগ, প্রচারে সরগরম খুলনা

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, গাজীপুর, নূরুল ইসলাম, টঙ্গী ও অমল সাহা, খুলনা ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরা গণসংযোগ আর বৈঠকের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সে অনুযায়ী ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে মেয়রসহ অন্য প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা দিনভর গণসংযোগ করে বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা স্থানীয় নানা সমস্যা তুলে ধরে সেগুলোর সমাধানসহ এ সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কথা বলে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারাও। প্রতীক বরাদ্দের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থনে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন ওই পদে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। তবে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে নির্বাচনী গণসংযোগে নামতে দেখা যায়নি। এতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনোবল কিছুটা চাঙ্গা হলেও বিএনপি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যকার হতাশা এখনও কাটেনি। এদিকে খুলনার প্রার্থীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় মনোনয়ন চান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু ওই পদে জাহাঙ্গীর আলমকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর হতে গত দুইদিন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের সরব উপস্থিতি দেখা যায়নি। এ নিয়ে নানা গুজবের সৃষ্টি হয়। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরুর তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে গণসংযোগে নামেন আজমত উল্লাহ খান। দুই নেতাকে একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে দেখতে পেয়ে গণসংযোগে অংশ নেয়া উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। দেখা গেছে। এ সময় উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে দলীয় মেয়র প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আজমত উল্লাহ খান কুনিয়া বড়বাড়ি, খাইলকৈরসহ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে বড়বাড়ি এলাকার জয়বাংলা সড়ক এলাকায় অনুষ্ঠিত এক পথসভায় বক্তৃতাকালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার চালাচ্ছি। আমাদের এই বিশাল মিছিলই বলে দেয় আগামী ১৫ মে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। নৌকা তথা এ্যাভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে বিজয়ী করতে আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি আছি। আজমত উল্লাহ খান আরও বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর জয়দবেপুর শহরে প্রার্র্থীর সঙ্গে সাক্ষাত ও গণসংযোগ হয়েছে। তাছাড়া অনেকে অনেক ধরনের কথা বলে থাকে। সব কথা কানে নেয়া ঠিক নয়। প্রার্থীর সঙ্গেই গণসংযোগ করতে হবে এমন নয়। মহানগর এলাকা অনেক বড়। সবাই একসঙ্গে গণসংযোগ করলে নির্বাচনী এলাকা কভার করা সম্ভব হবে না। আমি মহানগরের গাছার বড়বাড়ী এলাকায় গণসংযোগ করছি। জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দকে এলাকা ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তারা সে অনুযায়ী গণসংযোগ করছেন। পরে দক্ষিণ খাইলকুর বাহার মার্কেটের সামনে অনুষ্ঠিত অপর একটি পথসভায়ও বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, মহিউদ্দিন মহি, এসএম মোকসেদ আলমসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি প্রার্থী ॥ অপরদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় মনোনয়ন চান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকার এবং বর্তমান মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান। কিন্তু ওই পদে হাসান উদ্দিন সরকারকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর হতে গত তিনদিনেও বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত অধ্যাপক এমএ মান্নানের সরব উপস্থিতি দেখা যায়নি। এ নিয়ে দলের কর্মী সমর্থকসহ স্থানীয়দের মাঝে নানা গুজবের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে দলের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ব্যক্তিগত সহকারী কিবরিয়া হাসান জনি বলেন, অধ্যাপক এম এ মান্নান শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এখন পর্যন্ত তিনি আমাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে নামতে পারেননি। তবে আমরা তাকে প্রত্যাশা করছি। গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, অধ্যাপক এম এ মান্নান ভোটের প্রচারে নামার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থাও ভাল না। তাছাড়া তিনি এখনও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে বহাল রয়েছেন। প্রচারের ক্ষেত্রে কোন বাধ্য বাধকতা রয়েছে কিনা তা আমাদের দেখতে হবে। এদিন টঙ্গীর এরশাদনগর, আউচপাড়া মোক্তার বাড়ি রোড, দেওড়া, মুদাফা পূর্ব পাড়া, ভাদাম, তিলরাগাতি, গুটিয়া মেডিক্যাল মার্কেট, সাতাইশ চৌরাস্তা, খরতৈল মনসুর আলী মাতবর স্কুল মাঠ, গাজীপুরা ও খাঁপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। এসব গণসংযোগে হাসান সরকারের সঙ্গে ছিলেন টঙ্গী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম শুক্কুর, সাবেক টঙ্গী পৌর সভার প্যানেল মেয়র আবুল হোসেন, গাজীপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বসির উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার বিএনপি ও শরিক দলের নেতারা। খুলনা ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রচার চলছে জোরেসোরে। সকাল থেকে প্রার্থীরা বেরিয়ে পড়েন গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, মতবিনিময়সহ নির্বাচনী কর্মসূচীতে। প্রচার প্রচারণায় সরগরম হয়েছে খুলনা। দুপুর ২টা থেকে প্রার্থীর সমর্থনে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। অনেক প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সংবলিত পোস্টার রাস্তার বিভিন্ন স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে উপড়ে রশিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ছুটে গিয়ে ভোট চাইছেন। উন্নয়ন, নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধিসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটাররাও আলোচনায় মেতে উঠছেন। এলাকাভিত্তিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং নগরপিতার (মেয়র) পদ নিয়ে শহরময় আলোচনা চলছে। কে কেমন, কার কেমন যোগ্যতা, কে কি করতে পারেন বা না পারেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বুধবার ৩১ দফা এবং বিএনপি মনোনীত ২০ দল সমর্থিত প্রার্থী নজরুল মঞ্জু বৃহস্পতিবার ১৯ দফা সম্বলিত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তারা দুই জনই নিরলসভাবে এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ছুটে চলেছেন। ভোটারদের কাছাকাছি আসার ও তাদের মন জয় করার জন্য উন্নয়ন, নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধিসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক গণসংযোগ করছেন, মতবিনিময় সভায় অংশ নিচ্ছেন। সিপিবি মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুও নির্বাচনী মাঠে তৎপর রয়েছেন। তবে জাপা প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমানের কার্যক্রম এখনও দেখা যাচ্ছে না। মেয়র পদে ৫ প্রার্থী ছাড়াও সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত ১০টি আসনে ৩৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীদের অধিকাংশই ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাইকে প্রচার, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার ঝুলিয়ে দেয়া প্রভৃতি কার্যক্রমে তারা সক্রিয় রয়েছে। এদিকে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বাইরে অতিরিক্ত ১৪ জন এবং বিএনপির অতিরিক্ত ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে যারা রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৫ প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের একজন আওয়ামী লীগের এবং চার জন যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত। বাকিদের ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা সরে না দাঁড়ালে তাদের ওপরও শৃঙ্খলাভঙ্গের খাড়া নেমে আসবে। অপরদিকে বিএনপির অতিরিক্ত প্রার্থী যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে সমঝোতার পথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিএনপি প্রার্থীর ১৯ দফা ঘোষণা ॥ খুলনাকে একটি পরিবেশবান্ধব সবুজ সমৃদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন মহানগরী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার দিয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ১৯ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় মঞ্জু বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে নগর ভবন হবে জনতার ভবন। নাগরিকদের সেবায় মেয়রের দরজা সবসময় খোলা থাকবে। নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে- খুলনা মহানগরীতে নাগরিক শাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিক পরিকল্পনার প্রবর্তন, নাগরিক মর্যাদা ও সম্মান সংরক্ষণ এবং গুণীজন সম্মাননা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহনশীল শহর হিসেবে গড়ে তোলা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সংরক্ষণ, শিশু-বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সহায়ক পরিকল্পনা গ্রহণ, মাদকবিরোধী খুলনা গড়া, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান, নগরবাসীর স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পার্ক, উদ্যান সংরক্ষণ, ক্রীড়া, বিনোদন ও শরীরচর্চার সুযোগ সৃষ্টি, ভেজালমুক্ত বিশুদ্ধ খাদ্য সরবরাহ, মহানগরীর সড়ক উন্নয়ন ও বর্জ্য-বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, খালিশপুর শিল্পাঞ্চল পুনরুজ্জীবনের পদক্ষেপ, শিল্প ও কলকারখানা স্থাপনে সহযোগিতা দান, সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের উন্নয়ন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় ভূমিকা গ্রহণ, নগর সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ প্রভৃতি। শেখ হাসিনা ছাড়া খুলনার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়না -খালেক ॥ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ১ ও ২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া খুলনার ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। তিনি খুলনার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি সকাল ৭টা থেকে ফুলবাড়ি গেট বাজার, ফুলবাড়ি গেট স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় শুভাকাক্সক্ষীরা তার সঙ্গে ছিলেন। পরে তিনি শিরোমণি এলাকায় ক্যাবল ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তালুকদার খালেক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের খানজাহান আলী সেতু (রূপসা সেতু) সেতু, শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, আধুনিক রেল স্টেশন দিয়েছেন। মংলা বন্দর সচল করেছেন, বন্ধ মিল কারখানা চালু করেছেন, নগর উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আজ রেলসহ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। এ সবই শেখ হাসিনার অবদান। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে শ্রমজীবী মানুষসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রাথী খালেক।
×