ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যে মুগ্ধ দর্শকশ্রোতা

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

শিল্পকলায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যে মুগ্ধ দর্শকশ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজস্ব সংস্কৃতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীত, নৃত্য, চারুকলা, নাটক, বাঁশি, দোতারা, বেহালা, সরোদ, সেতার, স্টাফ নোটেশন, অর্কেস্ট্রা মিউজিক, পিয়ানো বাদনসহ প্রশিক্ষণ প্রদান ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সানি জুবায়ের ও প্রিয়াংকা গোপ। শাস্ত্রীয় গৌড়ীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী র‌্যাসেল এগনেস প্যারিস প্রিয়াংকা। শিল্পী সানি জুবায়ের পরিবেশন করেন ঠুমরী। শিল্পী প্রিয়াংকা গোপ প্রথমে পরিবেশন করেন ঠুমরী এবং পরে খেয়াল। শিল্পী র‌্যাসেল এগনেস প্যারিস প্রিয়াংকা গৌড়ীয় নৃত্যে প্রথমে ‘কালি ও কারা‘ এবং পরে ‘পুতনাবধ’ পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন মহুয়া মুখার্জী। উপস্থাপনায় ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা শিল্পীদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়ে করতালির মাধ্যমে নিজেদের অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। বৈশাখী নাট্যোৎসবে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘আমিনা সুন্দরী’ মঞ্চস্থ ॥ প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো লোককাহিনী ‘নছর মালুম ও ভেলুয়া সুন্দরী’ গল্পকে সঙ্গীতের অপূর্ব ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এস এম সোলায়মান রচনা করেছেন নাটক ‘আমিনা সুন্দরী’। বাঙালী নারীর প্রেম ও পুরুষ শাসিত সমাজে নারীর প্রতি পুরুষের প্রবঞ্চনা মূলত এ গল্পের প্রধান উপজীব্য । ২০০৭ সালে থিয়েটার আর্ট ইউনিট নাটকটি মঞ্চে নিয়ে আসে। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবি। ঢাকার নাটক স্মরণী বেইলি রোডের নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে আয়োজিত বৈশাখী নাট্যোৎসবের দশম দিন বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় নাটকটি। আমিনা সুন্দরীর গল্প ৩০০ বছরের পুরনো হলেও, নারীর প্রতি অবমাননার এ গল্প পৃথিবীর পুরুষ শাসিত সমাজের ঘরে ঘরে আজও বর্তমান। তাই আমিনা সুন্দরীর গল্প এ নাটকে তুলে আনা হয়েছে হাজার নারীর গল্প হিসেবে।
×