ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে ৭২ গ্রামের মানুষ বিপাকে

ধনপোতা-মাসকাটা খালে বাঁধদিয়ে মাছ চাষ

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

ধনপোতা-মাসকাটা খালে বাঁধদিয়ে মাছ চাষ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ফকিরহাটে ৩টি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র সরকারী খালে মাছ চাষের নামে বাঁধ দিয়েছে প্রভাবশালীরা। ফলে দ্রুত খাল শুকিয়ে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ও চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ‘কবর দেওয়ার স্থানও পাওয়া যাবে না’ বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন। তাই জনস্বার্থে অবৈধ দখল দ্রুত উচ্ছেদ করে রেকর্ডীয় খালের স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ৭২টি গ্রামের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধনপোতা-মাসকাটা সরকারী খালটি পিলজংগ ইউনিয়নের শ্যামবাগাত বাসস্ট্যান্ড দিয়ে মাসকাটা সাব-প্রজেক্ট হয়ে লখপুর ইউনিয়নের খড়িয়া বিলের ওপর থেকে বটিয়াঘাটা উপজেলার আমেরপুর ইউনিয়নের মরা পশর নাদীতে গিয়ে মিশেছে। সরকারী এই নদীটির ধনপোতা-মাসকাটা নামক স্থানে জনগণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিমপার্শ্বে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে মৎস্যঘের তৈরি করেছে। এতে ৩ ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র সরকারী এ খালটি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। শতশত মৎস্যঘের, কৃষিক্ষেতের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। তারা আরও বলেন, পিলজংগ, বেতাগা ও লখপুর ইউনিয়নের প্রায় ২৭টি গ্রামের সকল বৃষ্টির পানি এই ধনপোতা-মাসকাটা মরা নদী দিয়েই সরবরাহ হয়ে থাকে। কিন্তু সেই নদীটির মাঝ পথে ভেড়িবাঁধ দিয়ে আটকিয়ে রাখায় ওপরের পানি সরবরাহ হতে পারবে না। আর পানি সরবরাহ হতে না পারলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় মারত্মক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। বেতাগাঁ ইউপি সদস্য ধনপোতা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ভাষায়, ‘এ খালের অবৈধ বাঁধ দ্রুত উচ্ছেদ না করলে, বর্ষা মৌসুমে কবর দেয়ার স্থানও পাওয়া যাবে না।’ এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে সংশ্লিষ্টরা ‘দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে জানিয়েছেন।
×