ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ির নক্সা অনুমোদনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

বাড়ির নক্সা অনুমোদনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক ॥ গণপূর্তমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভবন নির্মাণে গণপূর্ত অধিদফতরের সক্ষমতা আগের থেকে অনেক বেড়েছে বলে দাবি করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। একই সঙ্গে সক্ষমতা বাড়লেও সরকারী এসব ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এসব ভবনের তেমন রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। তাই সরকারের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য সরকারী ভবন রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদেরকে প্রয়োজনে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাড়ানোরও নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গণপূর্ত অধিদফতরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বিষয়ক দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, গণপূর্ত অধিদফতরে সব অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদফতরের স্থপতি, সংস্থার প্রতিনিধিসহ প্রায় ২৫০ জন উর্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। গণপূর্ত অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠানে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আগে আমরা ছয় তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করতে পারতাম। এখন ২০ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করতে পারি। তবে পুরনো ভবনগুলোর ক্ষেত্রে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। এতে সরকারী অপচয় কমার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ উন্নত সেবা পাবেন। ‘রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং’ প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, ভবনগুলোতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন করে বাড়ির নক্সা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে বাধ্যতামূলক করতে হবে ভবনের ছাদ বা নিচে রেইন রিজার্ভের ব্যবস্থা। বৃষ্টির পানির সঠিক ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে। সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) প্রসঙ্গে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, এসটিপি না থাকলে কোন ভবনের নক্সা অনুমোদন দেয়া হবে না। ভবনগুলোতে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় নাগরিক জীবনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা আর ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশনের দিকে চেয়ে থাকব না। প্রতিটি ভবনে এসটিপি ব্যবস্থা করব। ভবনে এসটিপি না থাকায় ঢাকার চারপাশের নদীও দূষিত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে গণপূর্তের ৩ শ’ ২১টি প্রকল্প চলমান। সংশোধিত এডিপিতে মোট বরাদ্দ ৫ হাজার ৭৮৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ১ হাজার ৯ শ’ ৫৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে। গণপূর্ত অধিদফতরের উর্ধতন প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর সমস্যা ও সমস্যার যৌক্তিক সমাধানে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
×