ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মেঘনার তীর অপহৃত ছেলের লাশের সন্ধান করেছেন পিতা

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

মেঘনার তীর অপহৃত ছেলের লাশের সন্ধান করেছেন পিতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ দিনেও হদিস মেলেনি ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে অপহৃত এসএসসি পরীক্ষা দেয়া হাবিবুর রহমান সিফাতের। সিফাত অপহরণে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত তামিম ও নেহাল। তারা বলেছে বরিশালগামী লঞ্চে হত্যার পর সিফাতের লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে। গত ৪ এপ্রিল অপহৃত হয় সিফাত। সে এবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের প্রেসিডেন্সি স্কুল থেকে বাণিজ্য বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আগামী ৬ মে তার পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। পরে সিফাতের পরিবার অপহরণকারীদের কয়েক দফায় চব্বিশ হাজার টাকা দেয়। টাকা নেয়ার সূত্রধরে গ্রেফতার হয় তামিম ও নেহাল। তারা গত ১৩ ও ১৪ এপ্রিল জবানবন্দীতে হত্যার পর লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়ার কথা বলে। এদের জবানবন্দী মোতাবেক সিফাতের পিতা মুদি দোকানি হারুন অর রশীদ গত দশ দিন ধরে মেঘনা নদীর তীরে তীরে ঘুরে ছেলের লাশের সন্ধান করছেন। যাচ্ছেন কবরস্থানে, থানায় ও হাসপাতালের মর্গে। মঙ্গলবার রাত একটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিফাতের সন্ধান মেলেনি। ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সিফাতের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে। আসামি নেহাল এবার ঝালকাঠি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল। গত ১৯ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় নেহাল ও তামিম। তারা ইয়াবাসেবী। সিফাতকে অপহরণ করে টাকা আদায় করতে তামিম ঝালকাঠি থেকে নেহালকে ঢাকায় ডেকে এনেছিল। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তারা আনন্দ করার জন্য গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সদরঘাট গিয়ে বরিশালগামী পারাবত-৯ লঞ্চে উঠে পেছনের দিকের একটি কেবিন ভাড়া নেয়। কেবিনের ভেতরে তারা কৌশলে সিফাতকে ঘুমের বড়ি খাওয়ায়। এরপর তারা সিফাতকে গলা টিপে হত্যার পর পেট কাটে। পরে লাশ একটি বস্তায় ভরে লঞ্চের পেছনের দিক দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। লঞ্চটি চাঁদপুর ছেড়ে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর বস্তাবন্দী লাশটি ফেলে দেয় বলে জবানবন্দীতে উল্লেখ করেছে। বাঁচিয়ে রাখলে ঝামেলা হতে পারে ভেবে হত্যার পর তারা সিফাতের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা চায়।
×