ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুলার, রোবেনদের বিরুদ্ধে ফেবারিট রোনাল্ডো, রামোসরা

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

মুলার, রোবেনদের বিরুদ্ধে ফেবারিট রোনাল্ডো, রামোসরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে আজ রাতে হাইভোল্টেজ সেমিফাইনাল হতে যাচ্ছে। এতে মুখোমুখি হচ্ছে ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা দুই দল বেয়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি নিয়ে ফুটবলবিশ্বে চলছে আলোচনা, পর্যালোচনা। ম্যাচের আগে দু’দলের সার্বিক দিকও তুলে ধরা হচ্ছে। তবে সর্বশেষ তিনবারের মুখোমুখি লড়াই পর্যালোনা করলে টমাস মুলার, রবার্ট লেভানডোস্কিদের বিরুদ্ধে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, সার্জিও রামোসরা। এবারসহ ২৫ বারের মতো ইউরোপিয়ান কোন প্রতিযোগিতায় এবং সপ্তমবারের মতে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বেয়ার্ন ও রিয়াল। ২০১৭ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলের ব্যবধানে জিতে সেমিতে উঠেছিল রিয়াল। প্রথম লেগে রিয়াল ২-১ গোলে হারায় বেয়ার্নকে। ৪৭ ও ৭৭ মিনিটে রিয়ালের হয়ে দু’টি গোল করেন দলের সেরা তারকা রোনাল্ডো। তবে ম্যাচে প্রথম লিড নিয়েছিল বেয়ার্ন। ২৫ মিনিটে আর্টুরো ভিদাল দলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে রোনাল্ডোর ঝলকে ম্যাচটি জিতে নেয় রিয়াল। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতে সেমির টিকেট নিশ্চিত করে গ্যালাক্টিকোরা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ফলাফলের জন্য অতিরিক্ত সময়ে লড়াই করতে হয়েছিল দু’দলকে। রিয়ালের মাঠে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন বেয়ার্নের লেভানডোস্কি। ফলে দু’লেগ মিলিয়ে শেষ আটে ২-২ সমতা আসে। ৭৬ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা আনলেও দু’লেগ মিলিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন রোনাল্ডো। দুই মিনিট বাদে এবার গোলের আনন্দে নেচে ওঠে বেয়ার্ন। রিয়ালের রামোসের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে লিড ও দু’লেগ মিলিয়ে সমতা আনতে পারে বেয়ার্ন। ওই সময় ম্যাচে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল বেয়ার্ন এবং দু’লেগ মিলিয়ে ম্যাচে ৩-৩ সমতা ছিল। ফলে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর সেখানেই বাজিমাত করে রিয়াল। ১০৫ ও ১১০ মিনিটে দু’টি গোল করে রিয়ালকে জয়ের স্বপ্ন দেখান রোনাল্ডো। এরপর ১১২ মিনিটে এ্যাসেনসিও রিয়ালের হয়ে সর্বশেষ গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ২০১৪ সালে সেমিফাইনালে দু’লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলের জয়ে ফাইনালে ওঠে রিয়াল। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে করিম বেনজেমার একমাত্র গোলে জয় পায় রিয়াল। প্রথম লেগ হারলেও ফাইনালে ওঠার ভাল একটি সুযোগ ছিল বেয়ার্নের। কারণ পরের লেগটি ছিল তাদেরই মাঠে। কিন্তু সেখানেও ব্যর্থতার পরিচয় দেয় তারা। প্রথম লেগে কষ্টার্জিত হলেও দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ হেসেখেলেই জিতে নেয় রিয়াল। রামোস ও রোনাল্ডোর দু’টি করে গোলে দ্বিতীয় লেগ ৪-০ গোলে জিতে সেমিতে ওঠে তারা। ২০১২ সালে অবশ্য সেমিফাইনালে পেনাল্টি শূটআউটে রিয়ালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বায়ার্ন। দু’লেগ মিলিয়ে ম্যাচের স্কোর ছিল ৩-৩। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল বেয়ার্ন। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোমেজের গোলে জয়ের স্বাদ নেয় স্বাগতিকরা। এরপর রিয়ালের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলতে যায় বের্য়ান। নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই অতিথিদের চেপে ধরে রিয়াল। রোনাল্ডোর জোড়া গোলে ম্যাচের ১৪ মিনিটের ব্যবধানে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় গ্যালাক্টিকোরা। ২৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে একটি গোল পরিশোধ করে বেয়ার্ন। গোলটি করেন রোবেন। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় লেগে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল। ফলে দু’লেগ মিলিয়ে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। এরপর অতিরিক্ত সময়েও স্কোরলাইনে কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি দু’দল। এরপর পেনাল্টি শূটে জিতে ফাইনালে ওঠে জার্মান পরাশক্তিরা।
×