ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনে তারেকের রাজনৈতিক আশ্রয়ের তথ্যে নতুন সঙ্কট

বিএনপি বেকায়দায়

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

বিএনপি বেকায়দায়

বিভাষ বাড়ৈ ॥ ২০০৮ সালে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে যাওয়ার দশ বছর পর প্রথমবারের মতো বিএনপি স্বীকার করল তাদের শীর্ষ নেতা তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে আসলে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। ১০ বছর ধরে চিকিৎসার ঘটনা নিয়ে সব সময় এমনকি আদালতের কাছেও এতদিন দলটি বলেছে, তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। রাজনৈতিক আশ্রয়ের তথ্য দিয়ে তারেক রহমানের বাংলাদেশী পাসপোর্ট প্রত্যাহারে সৃষ্ট রাজনৈতিক ব্যর্থতা সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও এর মধ্য দিয়ে নতুন সঙ্কটে জড়িয়ে পড়ল বিএনপি। নিজেদের বক্তব্যই প্রমাণ দিচ্ছে, আদালতে তাদের দেয়া তথ্য ছিল মিথ্যা। রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য পাসপোর্ট জমা দেয়ার কথা স্বীকারের মধ্য দিয়েও দলটির শীর্ষ নেতার বাংলাদেশী নাগরিকের বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়ল। যার তথ্যে তারেক রহমানের পাসপোর্ট প্রত্যাহারের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে সেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘আজকে তারা পিছুটান দিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেবকে দিয়ে স্বীকার করেছেন যে তারেক রহমান পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন! এবং এটাও বলেছেন তিনি সাময়িকভাবে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন!!! যে তথ্য আমি ২০১৫ এবং ২০১৭ তেও প্রকাশ করেছি তা নিয়ে শুধু শুধু ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে তারা নিজেরাই আরও ঝামেলায় পড়েছেন। দশ বছর ধরে লন্ডনে ‘চিকিৎসাধীন’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের বাংলাদেশী পাসপোর্ট পরিত্যাগ করার ইস্যুতে কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় চলছে। দেশের গ-ি ছাড়িয়ে বিদেশেও চলছে নানা আলোচনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেল শনিবার লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দ-িত আসামি তারেক রহমানকে যেভাবেই হোক দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। যে অপরাধী সাজাপ্রাপ্ত, সে কী করে এখানে থাকে? কাজেই তাকে তাড়াতাড়ি ফেরত দেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও ওই অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের বিষয়ে কথা বলেন, যা নিয়ে দেশে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তারেক জিয়া বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট হাইকমিশনে জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। সেই তারেক রহমান কীভাবে বিএনপির ভারপাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে? গণমাধ্যমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, চ্যালেঞ্জ ও পাল্টা চ্যালেঞ্জ। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার তারেক রহমানের উকিল নোটিস পাঠানোর খবরও আসে। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তারেক রহমান বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট হাইকমিশনে জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন’- এমন বক্তব্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে মামলা করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয় ওই নোটিসে। এরপরই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ব্রিটিশ সরকারের মাধ্যমে তারেক রহমানের পাসপোর্ট জমা দেয়ার প্রমাণ তুলে ধরে বলেন, তারেক আর এ দেশের নাগরিক নন। একজন কনভিকটেড ক্রিমিনাল এ রকম একটি ভ্যালিড ডকুমেন্টের প্রেজেন্টেশনের পরও কীভাবে উকিল নোটিস দেন, দ্যাট বি ভেরি ইন্টারেস্টিং। তারা যদি মামলা করতে চান, উই উইল ডেফিনিটলি ফেইস ইট। বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলে তা দেখানোর দাবিও তোলে আওয়ামী লীগ। সোমবার আওয়ামী লীগ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চ্যালেঞ্জের পর পাসপোর্ট জমা দেয়া হয়নি এমন তথ্য দেয়া জরুরী হয়ে পড়ে বিএনপির। তবে এমন অবস্থার মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হন বিএনপি নেতারা। নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথমবারের মতো স্বীকার করেন, যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেদেশের স্বরাষ্ট্র বিভাগে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, জননেতা তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক। তিনি তার এই প্রিয় দেশের নাগরিক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে যে ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন সেটাতে ১৩টি বড় ভুল রয়েছে এবং এই নথি রহস্যজনক। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’র তথ্য দিয়ে তারেক রহমানের বাংলাদেশী পাসপোর্ট প্রত্যাহারে সৃষ্ট রাজনৈতিক ব্যর্থতা সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও এর মধ্য দিয়ে নতুন সঙ্কটে জড়িয়ে পড়ল বিএনপি। কারণ এর মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন আদালতে ১০ বছর ধরে দেয়া তথ্য মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলো অন্যদিকে তারেক রহমানের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব থাকার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে যদি চার বছর আগে তারেক রহমান ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাসপোর্ট জমা দিয়ে থাকেন তাহলে কি বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছাড়াই তারেক রহমান দুই বছর আগে সপরিবারে সৌদি আরব সফর করেছিলেন? খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে সরকারের কাছে রীতিমতো মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন চিকিৎসার কথা বলে। ১০ বছর ধরে চিকিৎসা করার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময় এমনকি আদালতে প্রশ্ন উঠলেও বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময়েই বলা হচ্ছে, সেখানে তাদের নেতা তারেক রহমান চিকিৎসাধীন আছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার তার ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, রিজভী সাহেব চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন ফিরিয়ে দেয়া পাসপোর্ট থাকলে তা দেখাতে। গতকাল তা মিডিয়ায় দেখিয়ে উল্টো চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, তাদের পরিবারের পাসপোর্ট ফেরত দেয়া না হলে তারা দেখাক অথবা মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে তাও প্রমাণসহ বলুক। সকলেই জানেন এবং বোঝেন যে, রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হলে অন্য দেশের নাগরিকত্ব পরিহার করতে হয়, সাময়িক হলেও। কারণ রাজনৈতিক আশ্রয়ের মূল যুক্তিই দেয়া হয় যে আপনার দেশে আপনার স্থান নেই। পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার মূল কারণ এবার বোঝা গেল। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে নিজের অবস্থান জনগণের কাছে পরিষ্কার করে না বা সংকোচ বোধ করে তার কোন নৈতিক অধিকার থাকে না রাজনীতি করার, দলের সাময়িক প্রধান তো দূরের কথা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আদালতে এবং আদালতের বাইরে স্ববিরোধী বক্তব্যের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তারেক রহমানের অসুস্থতার নামে আদালতের দেয়া বক্তব্য অসত্য, যা প্রকারান্তে আদালতের ওপর ফ্রট প্রাকটিসের শামিল। এই ফ্রট প্রাকটিসে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারাই জড়িত, আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেছেন, তারেক রহমানের পক্ষের আইনজীবীগণ দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মিথ্যাচার করে আসছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে প্যারোলে লন্ডন যান। যাওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি আদালতে হাজির হননি। তাকে তো আজীবনের জন্য প্যারোলে দেয়া হয়নি। সব সময় তার আইনজীবীগণ তাকে অসুস্থ বলে আসছেন। তিনি লন্ডনে অবস্থান করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাজনীতি করছেন। দলের নেতারা বলছেন তারেক রহমান লন্ডনে রজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। আমাদের স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একত্রিত হয়ে আইনানুগ পদ্ধতিত্বে তাকে ফিরে আনা। ফিরে এনে একুশে আগস্ট মামলার বিচারের সম্মুখীন করা। এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, তার ফেসবুক এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কিছু পোস্ট ‘উধাও’ করে দেয়া হয়েছে। ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, আমার ফেসবুকের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে সারারাত। হ্যাকিং। পোস্ট উধাও। বুঝতেই পারছেন এই বিনিয়োগ কারা করেছে। ‘উধাও’ হওয়া ছবিগুলো আবার ফেসবুকে পোস্ট করবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলা অলরেডি প্রতিষ্ঠিত। মূল মিডিয়াতেই কথা বলেছি। তারেক রহমানের জন্ম নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘চোরামি’ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলছিলেন, মির্জা ফখরুল মিথ্যা কথা বলেছেন যে, জন্মসূত্রে তারেক বাংলাদেশী। চোরা তারেকের জন্ম করাচি। জন্ম নিয়েও চোরামি। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, মিথ্যা তথ্যের ওপর ভর করেই বিএনপির জন্ম। তাদের এক নেতা আগের দিন চ্যালেঞ্জ দিলেনÑ পাসপোর্ট দেখাতে। পরদিন আরেক নেতা এসে বললেন, পাসপোর্ট না থাকলে সমস্যা নেই। জন্মসূত্রে তারেক বাংলাদেশী। অথচ তারেকের জন্ম করাচিতে। তারেক কোনভাবেই জন্মসূত্রে বাংলাদেশী না। খালিদ বলেন, নিজের নেতার জন্ম কোথায়, কবে জন্ম নিয়েছেন- মির্জা ফখরুল তা জানেন না। অথবা জেনেশুনে মিথ্যাচার করছেন। যদি নিজের নেতার জন্ম সম্পর্কে তিনি না জানেন তাহলে ইতিহাস জেনে মির্জা ফখরুলের উচিত তারেক জন্মসূত্রে বাংলাদেশীÑ এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করা। আর মিথ্যাচার করে থাকলেÑ জাতির সঙ্গে প্রতারণা করার দায়ে তার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। নাহলে তিনি বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার রাখেন না। এদিকে বিএনপির তথ্যই প্রমাণ দিচ্ছে, বাংলাদেশী পাসপোর্ট ছাড়াই দুই বছর আগে সপরিবারে সৌদি আরব সফর করেছেন তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী, কন্যারা। তবে কোন দেশের পাসপোর্ট নিয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, সেই জবাব মিলছে না। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানের বাংলাদেশী পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। এরপর তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা মেয়াদ বৃদ্ধি বা হাতে লেখা পাসপোর্টের বদলে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেননি। আর ২০১৪ সালের ২ জুন তারেক রহমান, স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জমা দেন। তার সেই পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নেই তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী-কন্যার। অথচ এই অবস্থাতেও ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে সপরিবারে সৌদি আরব যান তারেক রহমান। তখন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ওমরাহ করতে সৌদি রাজ পরিবারের আমন্ত্রণে সেখানে ছিলেন। ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটায় এমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান ও খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানরা। তখন ২১ দিন সৌদি আরব অবস্থান করেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। ২৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া বাংলাদেশ এবং তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে সৌদি আরব ছাড়েন।
×