ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইরানের পরমাণু চুক্তি বাঁচিয়ে রাখতে ওয়াশিংটনে ম্যাক্রোঁ

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

ইরানের পরমাণু চুক্তি বাঁচিয়ে রাখতে ওয়াশিংটনে ম্যাক্রোঁ

রানের সঙ্গে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে না আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহেই ফ্রান্স ও জার্মানির নেতৃবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তারা বোঝাতে চেষ্টা করবেন তিনি যেন ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি বাতিল না করেন। ২০১৫ সালে চুক্তিটি হওয়ার পর ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো ক্রমান্ব^য়ে শিথিল করা হয়েছিল। এ নিয়ে কথা বলার জন্য ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন। শুক্রবার সেখানে যাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল। নিউইয়র্ক টাইমস। ট্রাম্প যেন ওই চুক্তি থেকে সরে না যান সে লক্ষ্যে ম্যাক্রোঁ ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি চান চুক্তি নিয়ে পরে যাই হোক এখন যেন সেটি বাতিল করা না হয়। ট্রাম্প ১২ মে চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি দিয়েছেন। চুক্তি হওয়ার পর ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার বোঝা হালকা হয়েছিল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো থেকে রেহাই পেতে প্রেসিডেন্টকে নিয়মিত ব্যবধানে এটি অনুমোদন করতে হয়, বিষয়টি চুক্তির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ট্রাম্প জানুয়ারি মাসেই হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন যে, তিনি ১২ মে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরবর্তী আদেশে সই করবেন না। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর থেকেই চুক্তির ইউরোপীয় পক্ষগুলো নড়েচড়ে বসতে শুরু করে। ইরান ও ছয়টি পশ্চিমা দেশের মধ্যে ওই চুক্তি হয়। যুক্তরাষ্ট্র এর একটি পক্ষ হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ। তাই যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে ফিরে গেলে চুক্তিটি মূল্যহীন হয়ে পড়তে পারে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এবারই যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন ম্যাক্রোঁ। পরমাণু চুক্তি ছাড়াও দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটানো তার এই সফরের অন্যতম লক্ষ্য। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তি করা হয়েছিল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই চুক্তির বিরোধিতা করে এসেছেন। তার মতে, এক দশকের জন্য ইরানের পরমাণু কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। তেহরান যেন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি হয়ে উঠতে না পারে তার কোন নিশ্চয়তা এ চুক্তিতে নেই। ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ২০২৫ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তেহরানকে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত রাখতে কি করা হবে তা নিয়ে দুপক্ষ কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত কি করবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ম্যাক্রোঁ তাকে বলার চেষ্টা করবেন আটলান্টিকের এপার ওপার সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও নিরাপত্তার জন্য চুক্তিটি প্রয়োজন।
×