ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আরিফিন রাহমান হিমেল ॥ কমনওয়েলথ পয়েন্টস অব লাইট

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

আরিফিন রাহমান হিমেল ॥ কমনওয়েলথ পয়েন্টস অব লাইট

আরিফিন রাহমান হিমেল। মেডিক্যালের শিক্ষার্থী এ তরুণ গড়ে তুলেছেন তারুণ্যভিত্তিক সংগঠন ‘ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ।’ হিমেল সম্প্রতি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ব্রিটেনের রানী কর্তৃক কমনওয়েলথ পয়েন্টস অব লাইট পুরস্কার জিতেছেন। আজকের ডিপ্রজন্মে থাকছে হিমেলের উঠে আসার গল্প, লিখেছেনÑ বেনজির আবরার ডিপ্রজন্ম- আরিফিন রাহমান হিমেলের জন্ম, পড়াশোনা, পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই- আরিফিন রাহমান হিমেল : আমি কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করি। দুই ভাই ও মা তিনজনের পরিবার, পিতা ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ছোট ভাই আশফিকুর রহমান অনিম সিএসসিতে পড়াশোনা করে আর আমি মেডিক্যালের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশে কাজ করি। ইয়ুথ ক্লাব অফ বাংলাদেশের কো-ফাউন্ডার ও সভাপতি। ডিপ্রজন্ম : ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা জানান। কেন এবং কিভাবে প্ল্যাটফর্মটির জন্ম? আরিফিন রাহমান হিমেল : ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ এর মূল ভাবনাটা শুরু হয় ২০১২ সালের প্রথম দিক থেকে, সমমনা দুই বন্ধুর আলাপচারিতায়। সেই আলাপচারিতার সূত্র ধরেই ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট। নিজেরা তরুণ হিসেবে তারুণ্যনিভর্র একটি সংগঠনের স্বপ্ন দেখেছিলাম যাতে আমরা নিজেদের উন্নয়নের পাশাপাশি তরুণদের সবধরনের অধিকার সচেতনতা, উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে তরুণদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে পারি। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০১৩ সালের ছোট্ট একটি পরিবার আজ প্রায় ২৫০ জনের সুবিশাল পরিবারে রূপ নিয়েছে যা রাজধানী ছাড়িয়ে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল, পাবনা, খুলনাতে ইতোমধ্যে বিস্তৃতি লাভ করেছে। ডিপ্রজন্ম : সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ব্রিটেনের রানী কর্তৃক কমনওয়েলথ পয়েন্টস অব লাইট পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টা যদি ডিপ্রজন্মের পাঠকদের জন্য বলতেন। আরিফিন রাহমান হিমেল : সাম্প্রতিক সময়ে সব চেয়ে বড় অর্জন যেটি তা হলো প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ব্রিটেনের রানী কর্তৃক কমনওয়েলথ পয়েন্টস অব লাইট পুরস্কার পাওয়া। ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই থ্যালাসেমিয়া নামক মারাত্মক বংশগত রোগ নিয়ে তরুণদের সচেতনতা, রক্তদান এবং থ্যালাসেমিয়ার বাহক নির্ণয়ের গুরুত্ব নিয়ে কাজ করে আসছে। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ এই অর্জন। ডিপ্রজন্ম : দেশের হয়ে অনেক বড় অর্জন এটি। পেছনে যাদের অবদান আপনি মনে করেন- আরিফিন রাহমান হিমেল : এই পুরস্কারটি ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটিভ সিটিজেন, ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতাল, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পরিবারেরসহ যারা বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করেছেন সকলের অর্জন। ডিপ্রজন্ম : কমনওয়েলথ পয়েন্ট অব লাইট স্বীকৃতির অনুভূতি জানান- আরিফিন রাহমান হিমেল : পুরস্কার কাজের ইচ্ছা শক্তি, দায়িত্ব অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। আর যখন প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তা পাওয়া যায় তখন তো সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো থাকে না। এটি নিঃসন্দেহে অনন্য। পরম করুণাময়ের কাছে হাজারও শুকরিয়া। ডিপ্রজন্ম : ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি আরিফিন রাহমান হিমেলের। আরিফিন রাহমান হিমেল : আমি কাজে বিশ্বাসী। তরুণদের নানা দিক নিয়ে বাস্তবধর্মী ও যুগোপযোগী কাজের মাধ্যমে তরুণদের নির্ভরতার ভিন্নধর্মী কাজ ও উন্নয়নের অংশীদারমূলক একটি ইনস্টিটিউট হিসাবে ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। এবং সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি ‘আমরাই পারি আমাদের পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে।’ ডিপ্রজন্ম : তরুণদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলতেন। আরিফিন রাহমান হিমেল : তরুণদের প্রতি আমার পরামর্শ দেয়ার কিছু নেই, কারণ আমিও নবীন, আমারও অনেক কিছু শেখার বাকি। তবে একটা কথা বলব, ভাল কাজের সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। আমিই বাংলাদেশ, আমরাই বাংলাদেশ। পরিবারের পাশাপাশি তাই দেশের উন্নয়নেও অংশীদার হতে হবে।
×