সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ হবিগঞ্জের দেশ নাট্যগোষ্ঠী সম্প্রতি মঞ্চে এনেছে ড. মুকিদ চৌধুরী রচিত নাটক ‘অপ্রাকৃতিক প্রকৃতি’। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন ফখরুল হামিদ। গত জানুয়ারি মাসে নাটকটি মঞ্চে আসার পর এ পর্যন্ত নাটকটির তিনটি প্রদর্শনী হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটি প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ হবে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেনÑ হারোন সাঁই, জনি রানি দাস, প্রসেনজিৎ দেবনাথ, আল আমিন, শারমিন আক্তার, শাহীন আহমেদ, যোশেফ হাবিব, সিরাজুল ইসলাম, মুখলিছুর রহমান ও মাখন মিয়া। কীর্তনীয়ায় ফারুক দেওয়ান। নৃত্যে মিঠুন, রোদ্র, নয়ন ও সন্দিপ। অনেকটা দেশজ ও রবীন্দ্র নাট্যধারার আদলে মঞ্চের পাদপ্রদীপের আলোয়ে নাটকটি উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে নির্দেশক জানিয়েছেন। মাতৃত্ব নারীর জীবনে এনে দেয় পূর্ণতা। যে নারী মাতৃত্বের স্বাদ পায়নি, সেই কেবল বোঝে এর অপূর্ণতা। তেমনই এক অস্পৃশ্য, অনাদৃত ও অবহেলিত সন্তানহীন নারীর কাহিনী নিয়ে মঞ্চস্থ হচ্ছে নাটক ‘অপ্রাকৃতিক প্রকৃতি’। যেখানে নারীকে মনুষ্যত্বের সম্মানে উন্মুক্ত করা হয়েছে শিল্পের গহীনালয়ে। নাটকে প্রকাশ পেয়েছে সন্তানহীন নারীদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত প্রভৃতি।
নাটক প্রসঙ্গে এর রচয়িতা ড. মুকিদ চৌধুরী বলেন, নাটকের মূল চরিত্র স্মৃতির জীবন সংসারের কাহিনী এতে তুলে ধরা হয়েছে। সন্তান লাভের আশায় স্মৃতি ভ- সাধুর আশ্রমে যেতেও কুণ্ঠাবোধ করেনি। আবার মানব চিরন্তন প্রেমের আহ্বানে অধরাকে পাবার আশায় সংসার ত্যাগী হয়, কিন্তু সংসারের মায়ামোহে আবার হয় ঘরমুখো। শত আয়োজন, শত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় প্রকৃতি বিমুখ হলে।
বেকসুর প্রকৃতি মাঝে মাঝে হয়ে ওঠে অপ্রাকৃতিক বাংলার রূপ। প্রসঙ্গত, এর আগে মঞ্চের আলোচিত নাটক ‘অশোকানন্দ’, ‘অচীন দ্বীপের উপাখ্যান’, ‘একটি আষাঢ়ে স্বপ্ন’, ‘কর্ণপুরাণ’, ‘তারকাঁটার ভাঁজে’, ‘রাজাবলি’, ‘গোমতীর উপাখ্যান’, ‘চম্পাবতী’ সহ মধ্যযুগের আখ্যান নির্মাণে ড. মুকিদ চৌধুরীর অনবদ্য নাট্যসৃজনে বাঙালীর নাট্যচিন্তার প্রসার ঘটেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ‘অপ্রাকৃতিক প্রকৃতি’ নাটকটি মঞ্চে এসেছে।
