ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে বাল্যবিয়ে ঠেকানো স্কুলছাত্রী হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

ময়মনসিংহে বাল্যবিয়ে ঠেকানো স্কুলছাত্রী হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ত্রিশালে বাল্যবিয়ে ঠেকাতে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। স্থানীয় ধানিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এই ছাত্রী শনিবার রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। রবিবার সকালে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন ছাত্রীর বান্ধবী ও শিক্ষকরা। অথচ এসময় ছাত্রীর পরিবারের কেউ সঙ্গে আসেনি। তবে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন ছাত্রীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং চিকিৎসার বিষয়ে নিয়মিত খবর নিচ্ছেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রী জানায়, বাবা-মা আর ভগ্নিপতি এনামুল হক বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসলেও স্কুলের শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করেন। সম্প্রতি আবারও বিয়ের জন্য মেয়েকে মারধরও শুরু করে বাবা-মা। শনিবার মেয়েটি অভিমান করে রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশের ফার্মেসি থেকে প্রেসারের বড়ি কিনে আনে। পরে সে ২০টি বড়ি খেয়ে ফেলে। এরপর মেয়েটি তার নিজের দুঃখের কথাটি এক বান্ধবীকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। ধানিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীটি মেধাবী। এর আগেও তার বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি বাল্যবিয়ে নিয়ে সচেতন বলে শেষ পর্যন্ত হয়নি। নাজমুল ইসলাম জানান, তিনি ছাত্রীকে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়ে এখন সর্বক্ষণিক খোঁজ খবরও নিচ্ছেন। একই স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী বান্ধবী তানিসা সিদ্দিকা জবা জানায়, এর আগেও ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছিল। তারা তখন স্কুলের স্যারদের বলে সেই বিয়ে বন্ধ করান। ভর্তির সময় পরিবারের কেউ না আসলেও সোমবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা হয় মেয়েটির মা শরীফার সঙ্গে। শরীফা জানান, তারা বিয়ের জন্য কোন চাপ দেননি। এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন বলেন, পুরো বিষয়টি দুঃখজনক।
×