ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ২৩ এপ্রিল ॥ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে একাধিক সিন্ডিকেট কর্তৃক অবাধেই কাটা হচ্ছে জমির টপ সয়েল। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে ফসলি জমি থেকে শুরু করে পাহাড় টিলা কোন কিছুই বাদ যাচ্ছে না। এসব মাটি কেটে তারা বিভিন্ন ইটভাঁটি, সড়ক নির্মাণ এবং মাটি ভরাট কাজে পাচার করে আসছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, অহরহ কৃষি জমির টপ সয়েল পাচারের দৃশ্য। এহেন দৃশ্য প্রশাসনের চোখে পড়লেও রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকায় রয়েছে। অভিযোগের প্রকাশ, উপজেলার হারুয়াছড়ি, পাইন্দং, সুয়াবিল, ভূজপুর, নারায়াহাট, দাঁতমারা, কাঞ্চনপুর, নাজিরহাট পৌরসভা এলাকা, নানুপুর খিরামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফসলি জমির উর্বর টপ সয়েল বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এ সব এলাকায় জমির টপ সয়েল প্রতি এক হাজার এমএফটি ২০-৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন এলাকায় সিন্ডিকেট দলের প্রভাবশালী সদস্য এবং ভূমিদস্যুরা ইটভাঁটির মালিকদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টপ সয়েল কিনতে বাধ্য করছে। তাছাড়া যে জমি থেকে টপ সয়েল পাচার করা হয় সেই জমির পার্শ্ববর্তী জমির মারাত্মক ক্ষতি হলেও ওই জমির মালিক বেকায়দায় পড়ছেন। অপরদিকে, ভারি পরিবহনযোগে এসব মাটি পাচার করতে গিয়ে গ্রামীণ জনপদ এবং মহাসড়কের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া, ইটভাঁটিতে মাটি আনা নেয়ার জন্য বিভিন্ন সড়কের পাশ কাটা হচ্ছে। ফলে সরকারীভাবে প্রতিবছর সড়কগুলোর উন্নয়ন করা হলেও মাটি পরিবহনের কারণে সব সড়ক নষ্ট হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে উপজেলার ইটভাঁটি মালিক সমিতির সভাপতি এবং ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন জানান, বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ইটভাঁটির কারণে জনপদের ক্ষতির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, টপ সয়েল পাচার রোধ এবং জনপদের ক্ষতি নিবারণে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×