ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচমেন্টের নোটিস খারিজ

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

ভারতের প্রধান বিচারপতিকে ইমপিচমেন্টের নোটিস খারিজ

আচরণবিধি ভঙ্গসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্টের নোটিস খারিজ করে দিলেন রাজ্যসভার চেয়রম্যান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এই নোটিস এনেছিল কংগ্রেসসহ সাত বিরোধী দল। টাইমস অব ইন্ডিয়া। ৭১ জন বিরোধী সাংসদের আনা ইমপিচমেন্ট নোটিস জমা পড়ার পরই আইনী পরামর্শ নিতে শুরু করেন নাইডু। এ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল ছাড়াও তিনি আলোচনা করেন সুপ্রীমকোর্টের সাবেক বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি, লোকসভার সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ কাশ্যপ, সাবেক আইন সচিব পি কে মালহোত্রা, সাবেক সংসদীয় সচিব সঞ্জয় সিংহসহ রাজ্যসভার সচিবালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। রবিবারই হায়দরাবাদ থেকে নিজের পূর্ব নির্ধারিত সফর কাটছাঁট করে দিল্লী ফিরে আসেন তিনি। তারপর সোমবারই জানিয়ে দিলেন, ইমপিচমেন্টের নোটিস তিনি গ্রহণ করছেন না। কংগ্রেস সূত্র জানায়, নোটিস খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সুপ্রীমকোর্টে যেতে পারে তারা। দলের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, অপ্রত্যাশিতভাবে তিনি এটা করলেন বাইরে থেকে ফিরে আসার এক দিনের মধ্যেই। বিরোধীদের মূল অভিযোগ, দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে একাধিক আচরণবিধি ভেঙেছেন দীপক মিশ্র। অভিযোগ আনা হয় কারচুপি এবং অসত্য হলফনামা দেয়ারও। নাইডু প্রথমেই দেখেছেন, দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো আদৌ সঠিক কিনা। তিনি কোর্ট রেকর্ড দেখে এ বিষয়ে তার নিয়োগ করা আইন বিশেষজ্ঞদের প্যানেল কী বলছে, তা যাচাই করেছেন। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের কোন দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় ওই প্রস্তাব বাতিল করেন নাইডু। এদিকে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্টের প্রস্তাবকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন সাবেক সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভে। তিনি বলেন যদি প্রস্তাব গৃহীত হয়, তা হলে বিচারপতির মর্যাদা ক্ষুণœ হবে। যদি প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়, তা হলে উপরাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে। ঘটনা হলো, ওই পদক্ষেপের ফলে বিচারব্যবস্থার ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বা সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ওই প্রস্তাবে সই না করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন সালভে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনাকে প্রতিশোধের রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, অমিত শাহের নাম যেহেতু লোয়া মামলায় জড়িয়ে রয়েছে, তাই বিজেপি সভাপতিকে অস্বস্তিতে রাখতেই এ কাজ করছে কংগ্রেস। জবাবে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, যখন অরুণ জেটলি বিচারপতি সৌমিত্র সেনের ইমপিচের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, তখন তো কেউ প্রতিশোধের রাজনীতির কথা বলেনি।
×