ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত ঘুমের জন্য বাজারে এসেছে গ্যাজেট ও এ্যাপস

ঘুমের সমস্যা দূর করার উপায়

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

ঘুমের সমস্যা দূর করার উপায়

আজকের দিনে বেশিরভাগ মানুষ সাধারণত যেসব সমস্যায় ভোগে তার মধ্যে ঘুমজনিত সমস্যা অন্যতম। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যিনি বাড়িতে নিজের বিছানায় শোয়ার পরও ঘুম না আসার যন্ত্রণায় সারারাত এপাশ ওপাশ করেন। আর যদি কোথাও বেড়ানোর মধ্যে থাকেন বা টাইম জোন পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে তো কথাই নেই। তখন অনলাইনে ঘুরাঘুরি করে কারও সময় কাটে, কেউবা ইন্টারনেটে ঘুমপাড়ানি গান শুনেন, বা কোন গল্প পড়তে পড়তে ঘুমানোর চেষ্টা করেন। আবার কেউবা ইউটিউবের বিচিত্র সব ভিডিও দেখেন। কেউ আবার গভীর রিলাক্সেসান হবে এমন সব সাউন্ড বা গানের ভিডিওতে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে একজন মানুষের শরীরে সবচেয়ে বড় আঘাতটা লাগে মস্তিষ্কে। তবে কম ঘুম কেবল মস্তিষ্ক ছাড়াও শরীরে আরও অনেক সমস্যার জন্ম দেয়। আর এসব সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে অনেকে অনেক পথ বেছে নেন। যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফলপ্রসু হলেও অনেক ক্ষেত্রে তেমন একটা কাজে আসে না। রাতে মানুষের ঘুম না আসার বিষয়টির সমাধান করতে বেশ কিছু সম্ভাবনাময় এ্যাপস এবং গেজেট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে কিছু আবার টাইম জোন পরিবর্তনজনিত ঘুমের সমস্যা সমাধানের বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এর মধ্যে কিছু আছে বহনযোগ্য গেজেট যা বিভিন্ন এ্যাপসের তুলনায় একটু বেশি দামি। যেমন ব্রুক স্টোন নামের একটি প্রতিষ্ঠান বেড সাইডে রাখার মতো এমন স্পীকার এনেছে যার মধ্যে অন্তত ডজন খানেক সাউন্ড বিল্ট ইন থাকবে। এই সাউন্ডগুলো হতে পারে বৃষ্টি পড়ার বা সমুদ্রে ঢেউ অথবা ঝর্ণা বা পাখির কিচিরমিচির শব্দ। স্পীকারের পাশাপাশি যে কেউ তার মোবাইল ফোনের সঙ্গে এর সংযোগ দিয়ে ওই সাউন্ডবক্সের মাধ্যমে নিজের পছন্দের সুরও শুনতে পারবেন। ব্রুক স্টোনের এই স্পীকারের জন্য আপনাকে গুনতে হবে নিরান্নব্বই দশমিক নিরান্নব্বই ডলার, বাংলাদেশী টাকায় যা প্রায় সাড়ে আট হাজার টাকার সমান। এছাড়াও আছে ওয়্যার কাটার, লেক্ট্রোফ্যান, মারপেক ডোহম ডিএস নামের প্রতিষ্ঠানের গ্যাজেট যেগুলোর মূল্য পড়বে ৪৯ দশমিক ৯৫ ডলার। যাদের মাসের বেশিরভাগ সময় ঘোরাঘুরি করতে হয় বা বিভিন্ন স্থানে রাত কাটাতে হয়, তাদের জন্য এ ধরনের সাউন্ডবক্সের গেজেট বয়ে বেড়ানো এক ধরনের যন্ত্রণার মতো। তারা মাই নয়েজ, বা রিলাক্স মেলোডিসের মতো এ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। এরমধ্যে লজিক ওয়ার্ক নামে একটা প্রতিষ্ঠানের সিজন নামে একটা এ্যাপস আছে যা সত্যি চমৎকার তা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই এ্যাপসটাতে বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড পছন্দ করার অপশন আছে, যেমন স্প্রিং পিপারস, এ বারবিকিউ, লিফ রেকিং, বা আইসিকল ড্রিপিংসহ আরও অনেক। আর টাকা খরচ করতে না চাইলে অনলাইনের বিভিন্ন সাইট থেকে বা আই টিউনস থেকে সামান্য অর্থের বিনিময়ে আপনার পছন্দের সাউন্ড ক্লিপস আপনার স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে নিলে বাড়তি গেজেট বা গিয়ার টানাহেঁচড়ার ঝামেলা পোহাতে হবে না। এছাড়া স্লিপ ফোন নামে এক ধরনের গেজেট আছে যাতে অডিও ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ডে বক্তব্যসহ শুনতে পারবেন। এ গেজেটটি ওয়্যারলেস সুবিধাসহ কিনলে পড়বে ৯৯ দশমিক ৯৫ ডলার, আর ওয়্যারলেস ছাড়া কিনলে পড়বে ৪৯ দশমিক ৯৫ ডলার। সাধারণত কানে সারাক্ষণ হেডফোন রেখে গানবাজনা শুনলে বা কথা বললে শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের ক্ষতি হয় বলে সতর্ক করেন চিকিৎসকরা। তবে এসব গেজেটের হেডফোন কানে দিলে তা শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের ক্ষতি করে না বলে দাবি করছে এর উৎপাদকরা। ঘুম নিয়ে কাজ করে মায়ো নামে এমন একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, যখনই আপনি ভ্রমণের মাঝে থাকবেন পর্যাপ্ত পানি খাবেন। আর টাইম জোনের ক্ষেত্রে হার্ভাডের মেডিক্যাল স্কুল জানিয়েছে টাইম জোন এবং প্রতিটি মানুষের বায়োলজিক্যাল ক্লক সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তবে সবচেয়ে কম খরচ এবং সহজে জেট ল্যাগ সামলানোর উপায় হচ্ছে লম্বা ভ্রমণের সময় নিজেকে জাগিয়ে রাখা, এবং যত দূর সম্ভব দিনের বেলা জেগে থাকা ও কেবল রাতের বেলায় ঘুমানো। -দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
×