ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩২ সহ কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব যৌক্তিক ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

৩২ সহ কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব যৌক্তিক ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সম্পাদক পরিষদ এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা যৌক্তিক। তবে কিছু কিছু ধারার বিষয়ে সংসদীয় কমিটির বক্তব্য শুনলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হবে এবং ধারাগুলো সংশোধনের ব্যাপারে যেসব প্রস্তাবনা এসেছে সেগুলো হয়তোবা কিছু সংশোধন বা পরিমার্জন বা পরিবর্ধন হবে। তাই এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সংসদীয় কমিটিতে এনিয়ে আলোচনা করা হলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে)-নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে আইনমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে)- সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ মধুসূদন ম-ল ও সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা সংগঠনের প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারাসহ বিভিন্ন ধারা সংশোধনে দশটি পর্যবেক্ষণসহ একটি লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরেন। বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মে মাসের শেষে কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও এ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এ্যাটকো) নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সংসদীয় কমিটিতে খোলামেলা আলোচনা করে যে আইনটা করতে পারব সেটা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, কেউ ভীত হবে না। এটাই হচ্ছে আমাদের আসল উদ্দেশ্য। আলোচনার মাধ্যমে এই উদ্দেশ্য সাধিত হবে। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ^াসী উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে সংবাদপত্র ও বাক স্বাধীনতার বিষয়ে যে কথা বলা আছে তা বর্তমান সরকার অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদ পত্র ও বাক স্বাধীনতা হরণের বিষয়ে কোন কিছু থাকলে সেটা দূর করার জন্য যে যে প্রচেষ্টা করা দরকার সরকার তা করবে। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটিতে এই ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে যে আইন হবে তা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সেই আইনটায় কেউ ভীত হবে না এবং এ ধরনের আইন করাই হচ্ছে সরকারের আসল উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য এই আলোচনার মাধ্যমে সাধিত হবে বলে তিনি বিশ^াস করেন। বিএফইউজের লিখিত প্রস্তাবের বিষয়ে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আমরা একটা লিখিত মতামত আইনমন্ত্রীকে দিয়েছি। বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে আমাদের দশটি পর্যবেক্ষণ এবং একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আছে। স্পীকারের কাছে রবিবার একই প্রস্তাবনা আমরা উপস্থাপন করেছি। আমরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললাম, তিনি আমাদের বলেছেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যদি বিস্তারিত আলোচনা হয়, তাহলে নিশ্চয় একটা ভাল ফল পাওয়া যাবে। মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিভিন্ন ধারা নিয়ে আমাদের যে উদ্বেগ তা তুলে ধরেছি। যে সব ধারাগুলো সংশোধনের জন্য আমরা যেমন দাবি জানিয়েছি সে অনুযায়ী আমরা একটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। তার পাশাপাশি আমরা বলেছি, আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর, প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য, গণমাধ্যমের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সেফটিনেট থাকা উচিত।
×