ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শত শত পাহাড়-টিলা কেটে সমতল ভূমি বানিয়েছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

শত শত পাহাড়-টিলা কেটে সমতল ভূমি বানিয়েছে রোহিঙ্গারা

চট্টগ্রাম অফিস/স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফ ও উখিয়ায় শত শত পাহাড়-টিলা কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করেছে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। এ কাজের সঙ্গে কিছু এনজিও সংস্থার কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এসব এনজিও সংস্থার পক্ষে এখন আগামী বর্ষায় ভূমিধসের আশঙ্কা ব্যক্ত করা হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ভূমিধসের আশঙ্কায় আগে ভাগে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গাদের স্রোত সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসনকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে। রোহিঙ্গারা যে যেখানে পারে পাহাড়-টিলা কেটে ঝুপড়ি করে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেয়। পরে অবশ্য স্থানীয় প্রশাসন রোহিঙ্গাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা ঠিক করে দিয়েছে। গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রাখাইন রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে প্রথমেই রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফে শত শত পাহাড়-টিলা কেটে সাবাড় করে ফেলে। যেখানে সবুজ পাহাড় ছিল, ওসব পাহাড় ন্যড়া করে ফেলেছে রোহিঙ্গারা। এ ক্ষতি অপূরণীয় বলে মনে করছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে, কিছু সংখ্যক এনজিও নিজেদের ভিত দৃঢ় করতে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে এখনও পাহাড় কাটাচ্ছে। ওই পাহাড়-টিলাগুলো কাটতে ওসব এনজিও স্থানীয় উপজেলা বা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কোন ধরনের অনুমতি নেয়নি। ছাড়পত্র নেয়নি পরিবেশ অধিদফতরের কাছ থেকেও। কিছু এনজিও এবং রোহিঙ্গারাই মূলত সর্বনাশ করেছে পরিবেশের। ভূমিধসের সম্ভাবনা তারা নিজেরাই সৃষ্টি করেছে বলে স্থানীয়দের সুস্পষ্ট দাবি। এছাড়াও গত প্রায় আট মাস ধরে রোহিঙ্গারা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কচি চারা গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বাধা দিলে উল্টো তেড়ে আসার অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। বন বিভাগের কর্মীরা রোহিঙ্গাদের কাছে এক প্রকার অসহায়ত্ব বরণ করে আছে। বনাঞ্চল ধ্বংসের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা সামাজিক বনায়নও সাবাড় করে দিচ্ছে। এতে চরম ক্ষতি হলেও প্রতিবাদ করার সাহস যেন কারও নেই। পানের বরজের খুঁটি থেকে শুরু করে রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের সীমানা বেড়া কিছুই বাদ দিচ্ছেনা। জ্বালানি হিসেবে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একাধিক এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের মাঝে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করলেও তারা ওসব বিক্রি করে দিয়ে বনাঞ্চল সাবাড় করেই চলেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ॥ কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড আগামী মাসের প্রথমদিকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে জানা গেছে। সফরকালে তিনি সরেজমিনে বাংলাদেশে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগে বাধ্য হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করবেন। মিয়ানমারে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বব রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে যোগ দেবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
×