ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাসপোর্ট জমা ইস্যুতে ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ’- সপরিবারে তার পাসপোর্ট সারেন্ডার কাহিনী ॥ উঠল নতুন প্রশ্নÑ তিনি কি বাংলাদেশের নাগরিক আছেন?

ফাঁসলেন তারেক ॥ উকিল নোটিস চ্যালেঞ্জ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

ফাঁসলেন তারেক ॥ উকিল নোটিস চ্যালেঞ্জ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ দশ বছর ধরে লন্ডনে ‘চিকিৎসাধীন’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশী পাসপোর্ট পরিত্যাগ ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের তারেকের পাসপোর্ট পরিত্যাগ তথ্য প্রকাশের পর চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে তারেকের উকিল নোটিস পাঠালে প্রত্যুত্তরে বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলে দেখানোর দাবি তুলেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে নথি দেখিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন তারেক আর এ দেশের নাগরিক নন। বলেন, একজন কনভিকটেড ক্রিমিনাল এ রকম একটি ভ্যালিড ডকুমেন্টের প্রেজেন্টেশনের পরও কীভাবে উকিল নোটিস দেন, দ্যাট বি ভেরি ইন্টারেস্টিং। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে সরকারের কাছে রীতিমতো মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে যান। এরপর থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন চিকিৎসার কথা বলে। ১০ বছর ধরে চিকিৎসা করার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময় এমনকি আদালতে প্রশ্ন উঠলেও আজ পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে কখনোই বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি। বরং প্রায় সব সময়েই বলা হচ্ছে, সেখানে তাদের নেতা তারেক রহমান চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবেন। এরই মধ্যে হাইকোর্ট দুই বছর আগে মুদ্রা পাচারের এক মামলায় তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে সাত বছরের কারাদ- দেয়। আর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে ১০ বছরের কারাদ- দেয় জজ আদালত। ওই মামলাতেই পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন তারেক রহমানের মা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার অনুপস্থিতিতে তারেক রহমানই পদাধিকার বলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে লন্ডন থেকে দল পরিচালনায় নির্দেশনা দিচ্ছেন। এমনই এক প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দ-িত আসামি তারেক রহমানকে যেভাবেই হোক দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। যে অপরাধী সাজাপ্রাপ্ত, সে কী করে এখানে থাকে? কাজেই তাকে তাড়াতাড়ি ফেরত দেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও ওই অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের বিষয়ে কথা বলেন, যা নিয়ে দেশে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তারেক জিয়া বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট হাই কমিশনে জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন। সেই তারেক রহমান কীভাবে বিএনপির ভারপাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে? গণমাধ্যমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রকাশের পরই রবিবার এ নিয়ে কোন কথা বলেনি বিএনপি। তাদের চুপ হয়ে যাওয়ায় রবিবার থেকেই সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শুরু হয় বিএনপির বর্তমানের শীর্ষ নেতার সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে রীতিমতো দুর্বল ও অযোগ্য নেতায় পরিণত হচ্ছিলেন সাধারণের কাছে। এরপর সোমবার সকালে বিএনপির দু’একজন নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিচ্ছিন্নভাবে এ নিয়ে কথা বললেও তারা কেউ তারেকের বাংলাদেশী পাসপোর্ট প্রত্যাহারের ঘটনাকে মিথ্যা বলতে পারেননি। বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তারেক রহমান এ দেশের মানুষ। এ দেশেই আসবেন। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র আসলেই তিনি আসবেন।’ তার এ বক্তব্যের কোথাও পাসপোর্ট প্রত্যাহারের তথ্যকে অস্বীকার করার কথা নেই। এরপর দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বরাতে সংবাদমাধ্যমের খবর প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলন করে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকিও দেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নির্জলা মিথ্যা কথা বলেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে জমা দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি প্রদর্শন করুন। হাই কমিশন তো সরকারের অধীনেই, তাদের বলুন সেটি দেখাতে। রিজভী প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সমালোচনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ার জন্যই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন, যা মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় আত্মা বিক্রির সমতুল্য। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের প্রসঙ্গ টেনে এই বিএনপি নেতা বলেন, পাসপোর্ট সারেন্ডার করে তারা, যাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশীদের বিয়ে করে বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। বিদেশে বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। জিয়া পরিবারের কেউ বিদেশীদের বিয়ে করেনি, অন্য কোন দেশের নাগরিকত্বও তারা গ্রহণ করেননি। তারেক রহমান অসুস্থ অবস্থায় লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে মনের জ্বালা মেটানোর জন্য একেবারে উদগ্রীব হয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের লোকেরা। লন্ডনে গিয়েও অনবরত তার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাকে ফিরিয়ে আনার সব ব্যবস্থা করবেন- ইত্যাদি নানা কথা তিনি বলেছেন। বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের পরপরই প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে তারেক রহমানের উকিল নোটিস পাঠানোর খবর আসে। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তারেক রহমান বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট হাই কমিশনে জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন’- এমন বক্তব্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে মামলা করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয় ওই নোটিসে। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, সোমবার দুপুরে রেজিস্টার্ড ডাকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বরাবরে পাঠানো হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বরাতে কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ওই দুটি পত্রিকার সম্পাদককেও নেটিস দেয়া হয়েছে। কায়সার কামাল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তানকে নিয়ে ‘এমন অসত্য, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বক্তব্যে দেশে-বিদেশে সমাজিক ও রাজনৈতিকভাবে তার ‘সম্মান ও মর্যাদাহানি’ ঘটানো হয়েছে। নোটিসে আমরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট জমা ও নাগরিকত্ব বর্জন সংক্রান্ত বক্তব্যের যথাযথ প্রমাণ দিতে বলেছি। প্রমাণ দিতে না পারলে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। না হয় তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী এবং দেওয়ানি আদালতে মামলা করা হবে। আইনজীবী আরও বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ভিত্তিহীন বক্তব্যের বরাতে প্রকাশিত প্রতিবেদন ওই সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে দুটি পত্রিকাকে। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ ও পাসপোর্ট দেখানোর দাবি তোলা হলে প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নেয়নি ক্ষমতাসীনরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান ব্রিটিশ হোম অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানম-ি রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য আমি জানাতে চাচ্ছি, তারেক রহমান ওয়ান ইলেভেনের সময় মুচলেকা দিয়ে বিদেশে যাওয়ার পরে একবার তিনি পাসপোর্ট রিনিউ করেছেন বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে। এরপরে তিনি ব্রিটেন হোম অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাসে তার পাসপোর্ট সারেন্ডার (সমর্পণ) করেছেন। স্বপন বিএনপির উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে কোন আবেদন করেছেন কি না এটা যদি তারা দেখাতে পারে তাহলে আমরা তাদের বক্তব্যকে স্বাগত জানাব। মূলত তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন এবং তিনি ব্রিটেনে এখন কী স্ট্যাটাসে আছেন এটা আপনারা সবাই জানেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে তারেক রহমানের আইনী নোটিস পাঠানোর বিষয়ে স্বপন বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোন মিথ্যাচার করেননি। তিনি সত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে যদি কোন আইনী নোটিস দেয়া হয়, সে নোটিস প্রাপ্ত হলে সে অবশ্যই যথাযথ জবাব দেবেন। সত্য তথ্য তিনি প্রকাশ করেছেন, সত্য তথ্য প্রকাশ করার জন্য যদি ক্ষমা চাইতে হয় তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। তারেক রহমানের জমা দেয়া পাসপোর্ট দেখাতে রিজভীর চ্যালেঞ্জের পর পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন স্বপন। বলেন, তারেক রহমানের কাছে বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলে দেখাতে বলেন। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ নয়, আমরা এ তথ্য জানতে চাই। ওনার কাছে কোন পাসপোর্ট থাকলে উনি আমাদের দেখাতে পারেন। রিজভীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্বপন আরও বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জিয়া পরিবার ধ্বংসের চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে সরকারের প্রতি হাস্যকর-মনগড়া অভিযোগ করেছেন। প্রকৃত পক্ষে জিয়া পরিবার ধ্বংসের নায়ক স্বয়ং তারেক রহমান। জিয়া পরিবার ধ্বংসের কোন অভিপ্রায় সরকার বা আওয়ামী লীগের নেই। দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা তারেক রহমান। সেই দল ধ্বংসের জন্য অন্য কোন শক্তির প্রয়োজন নেই। রিজভীকে ‘হাইড্রোলিক টকিং ডল’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, প্রতিদিন মিডিয়ার সামনে শব্দ সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরও জিয়া হত্যার বিচার করতে পারেননি কেন? এমনকি ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত নিয়ে জিয়া হত্যা মামলাকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে বিএনপি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে কলঙ্কিত করেছে। তারেক রহমানের কাছে শুধু বাংলাদেশ নয়, যুক্তরাজ্যের নাগরিকরাও নিরাপদ নয়। দ-িত তারেককে অবিলম্বে বাংলাদেশের হাতে সোপর্দ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু। এদিকে চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জের পর সংবাদ সম্মেলন করে রীতিমতো নথি দেখিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বললেন, তারেক আর এ দেশের নাগরিক নন। যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের মাধ্যমে তারেক রহমানের পাসপোর্ট বাংলাদেশ হাই কমিশনে জমা দেয়ার একটি নথি দেখিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেছেন, তার হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন আর বাংলাদেশের নাগরিক নন। পাসপোর্ট জমা দেয়ার প্রমাণ দেখাতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ আর তারেক রহমানের উকিল নোটিসের পর তারেকের মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টের কপি এবং ব্রিটিশ হোম অফিসের একটি নথি দেখান শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, তারেক ব্রিটিশ হোম অফিসের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ২ জুন তার নিজের, স্ত্রীর এবং মেয়ের পাসপোর্ট লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে ‘ফেরত পাঠান’। এত কিছুর পরও যদি কারও কোন প্রশ্ন থাকে, বিশেষ করে জাতীয়তবাদী দলের কেউ যদি আগ্রহী হন, আমরা ব্যবস্থা করব। লন্ডনে আমাদের বাংলাদেশ হাই কমিশনে গিয়ে দেখে আসবেন। তারেক রহমানের উকিল নোটিসের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমি শুনেছি একটি উকিল নোটিস ইস্যু করেছেন। একটি বিষয় ভাল লাগল, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা বোধ হয় পুনঃস্থাপিত হয়েছে। কারণ প্রতিনিয়ত তারা আস্থাহীনতার কথা বলেন। একজন কনভিকটেড ক্রিমিনাল এ রকম একটি ভ্যালিড ডকুমেন্টের প্রেজেন্টেশনের পরও কীভাবে উকিল নোটিস দেন, দ্যাট বি ভেরি ইন্টারেস্টিং। তারা যদি মামলা করতে চান, উই উইল ডেফিনিটলি ফেইস ইট।
×