ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এমপি লিটন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ

প্রকাশিত: ০২:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

 এমপি লিটন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা-১(সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্য গ্রহণ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা হচ্ছে- এমপি লিটনের চাচী আইনুন নাহার এবং বাড়ির কাজের লোক ইউসুফ আলী ও আইয়ুব আলী। সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রাশেদা সুলতানা তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর আগে গত ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় মামলার বাদি ফাহমিদা বুলবুল কাকুলীর সাক্ষ্য করেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি একই সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কর্ণেল (অব:) ডাঃ আব্দুল কাদের খানসহ চার্জশীটভূক্ত ৮ আসামীর মধ্যে ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি চন্দন কুমার রায় বর্তমানে পলাতক রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, সোমবার দুপুরে জেলা জজ আদালতে মামলার সাক্ষী আইনুন নাহার, ইউসুফ আলী ও আইয়ুব আলীকে হাজির করা হয়। এদিন তাদের সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখ ছিল। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় বিচারক ওই তিন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এসময় আইনুন নাহার আদালতকে জানান, তিনি বাড়ির রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। গুলির শব্দ শুনে তিনি ড্রইং রুমের দিকে ছুটে যান। এসময় ভেতর থেকে এমপি লিটন দৌড়ে বাইরে আসে। তাকে জাপটে ধরে এমপি লিটন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। এসময় তিনিও এমপি লিটনের অবস্থা দেখে চিৎকার করে লোকজন ডাকতে থাকেন। তিনি আরও বলেন, আহত এমপি লিটনকে তার সমন্ধীর বেদার উদ্দিনের মটর সাইকেলে তুলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অপর দুই সাক্ষী ইউসুফ আলী ও আইয়ুব আলী মামলার আলামত পুলিশ জব্দ করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে আদালতকে জানান। এসময় সরকার নিযুক্ত আসামী আইনজীবি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম প্রামানিক ও কর্ণেল (অবঃ) আব্দুল কাদের খানের আইনজীবি সিদ্দিক হোসেন সেলিম ও কাদের খানের পিএস শামসুজ্জোহার আইনজীবি জাইদুল ইসলাম সাক্ষীদের জেরা করেন। তারা সাক্ষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঘটনা ঘটার সময় সাক্ষীরা প্রত্যক্ষদর্শী নয়। তারা পরবর্তীতে পুলিশের কাছে আসামিদের নাম জানতে পারে। উলে¬খ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) গ্রামে নিজ বাড়িতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকুলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল একই আসনের (জাপা) সাবেক এমপি কর্ণেল (অবঃ) ডাঃ আব্দুল কাদের খাঁনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামিরা হলেন- কর্ণেল (অবঃ) আব্দুল কাদের খান, স্থানীয় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার, কাদের খানের পিএস শামছুজ্জোহা, কাদের খানের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক আব্দুল হান্নান, ভাড়া করা কিলার মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, রানা মিয়া ও কসাই সুবল চন্দ্র। আসামিদের মধ্যে চন্দন কুমার পলাতক ও বাকী আসামিরা কারাগারে আছেন।
×