ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সমস্যা যখন ‘ময়ূর’

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

সমস্যা যখন ‘ময়ূর’

ময়ূর মূলত এশিয়া অঞ্চলের পাখি হলেও, এখন সে পাখিই সমস্যা হয়ে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা শহরে। প্রায় দুই শতাব্দী আগে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা অস্ট্রেলিয়ায় পোষা পাখি হিসেবে ময়ূর নিয়ে যায়। এরপর পেখম মেলা সেই পাখির সৌন্দর্যে বিমোহিত হয় সবাই। কিন্তু এখন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা শহরের বাসিন্দারা বিপাকেই পড়েছেন এই পাখিটিকে নিয়ে। শহরের মানুষ রীতিমতো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। বিভক্তির কারণ, শহরে এই পাখি মুক্ত ঘুরে বেড়াবে না কি ফাঁদ পেতে তাদের ধরে মেরে ফেলা হবে- সে বিষয়ে। সম্প্রতি ক্যানবেরা শহরে ময়ূরের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। শহরের সড়কে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা, যখন তখন ঢুকে পড়ছে লোকের বাড়িতে। শোনা যায়, কিছুদিন আগে স্থানীয় এক লোক তার বাড়ির বাথরুমে ঢুকে দেখে সেখানে দেয়ালে সাঁটানো আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে আছে একটি ময়ূর। এছাড়া পাখির ডাকে, বিশেষ করে তাদের ডিম পাড়ার মৌসুমে, অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে শহরের বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে লোকেজনের শস্য ও সবজিও খেয়ে সাবাড় করছে। তাছাড়া বড় সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের গাড়ির চালকদের প্রায়াই মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হয়। শহরে অন্য পাখিদের থাকার ও ডিম পাড়ার জায়গাতেও ঢুকে পড়ছে ময়ূর। এসব কারণে নগর কর্তৃপক্ষ একটি আইন প্রস্তাব করেছে যেখানে বছরে অন্তত একবার একটি ফাঁদপাতা কর্মসূচী নেয়া হবে, যাতে ময়ূরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়। আর প্রস্তাবিত এই আইনের পক্ষে সমর্থনের অভাব নেই। কিন্তু বাদসেধেছে শহরের বাসিন্দাদের আরেকটি অংশ। তারা বলছেন, এই পাখিরাও এ শহরেরই বাসিন্দা, ফলে তাদের মেরে ফেলার এই সিদ্ধান্ত হবে নির্মম ও অমানবিক। অনেকে একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করেন। অনেকে যুক্তি দিচ্ছেন, বাড়ির চারপাশে বা সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর সময় পাশে পাশে ময়ূর হাঁটছে এটিই যেন তাদের চিরাচরিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখন তার অন্যথা তারা চান না। -অস্ট্রেলিয়ান টাইমস অবলম্বনে।
×