ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া বর্তমানে ভেটিং পর্যায়ে

তারেককে ফেরাতে আলোচনা চলছে ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

তারেককে ফেরাতে আলোচনা  চলছে ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। একজন দ-প্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আলোচনা বা যাদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন সেটা চলছে। মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এ্যাসিসটেন্স এ্যাক্ট বলে একটা আইন আছে, সেখানে কিছু কিছু অপরাধীদের বন্দীবিনিময় চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু আনতে পারি। ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এটা ফলপ্রসূ হচ্ছে কিনা আমি বলব না। অন্যদিকে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ সংশোধনীর প্রস্তাব সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে উত্থাপনে প্রস্তুতি রয়েছে। বিচার বিভাগের উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কখনই পিছপা হয়নি। বর্তমানে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রশিক্ষণের সব রকম ব্যবস্থা থাকবে। রবিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ খসড়া অনুমোদন হওয়ার পরে এটা এখন তিনটা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ আলোচনায় আছে। মূলত আইনটা ভেটিং পর্যায়ে আছে। যেহেতু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন। সেহেতু আমরা এ আইনটা নিয়ে সকল স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি। তিনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালকদের শাস্তির বিষয়টি ফোকাস হয়নি এটা ঢালাওভাবে বলা যাবে না, তার কারণ সরকার সড়ক পরিহবনে এ টু জেড সব কিছু দেখারই। বিষয়টি হচ্ছে দুর্ঘটনা হলে কি হবে। দুর্ঘটনা যাতে না হয় সে জন্য তিন চারটা জিনিস দেখতে হয়। চালকদের প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স প্রাপ্তি ও গাড়ির ফিটনেসের বিষয় এবং তারপরের বিষয় রাস্তা। সেই সব দিক দেখে একটা পরিপূর্ণ আইন করার জন্য সময় লাগছে। এমন না যে এখন কোন আইন নাই। যুগ উপযোগী আইন করতে একটু সময় লাগছে। আইনমন্ত্রী আরও জানান, সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত যা কিছু আছে সব কিছুকে এই আইনের মাধ্যমে এড্রেস করার চেষ্টা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত ও দুঃখিত। আমি শুধু এটাই বলব এই গুলোর মামলা যখন আদালতে যাবে তখন অন্ততপক্ষে এটুকু নিশ্চিত করব শাস্তির মাধ্যমে যাতে সতর্কতা বৃদ্ধি হয়। চালক মালিকরা যাতে বুঝতে পারে এ রকম অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। এমন অপরাধ করলে বিচার বিভাগ যথার্থ সাজা তাদেরকে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন যাদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন সেই আলোচনা চলছে। আলোচনায় পজিটিভ দিক দেখছি বলেই আলোচনা চলছে। ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এটা ফলপ্রসূ হচ্ছে কিনা আমি বলব না। বন্দীবিনিময় চুক্তি না থাকার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, চুক্তি না থাকলেও এ চুক্তি করতে তো বাধা নেই। মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এ্যাসিসটেন্স এ্যাক্ট বলে একটা আইন আছে, সেখানে কিছু কিছু অপরাধীদের বন্দীবিনিময় চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু আনতে পারি। সেই মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এ্যাসিসটেন্স এ্যাক্ট আমাদের দুই দেশেরই আছে। এটা কিন্তু জাতিসংঘের ধার্যকৃত একটা আইন। সেই সহযোগিতাও এই দুই দেশের মধ্যে আছে। একজন দ-প্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আলোচনা বা যাদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন সেটা চলছে। আলোচনায় পজিটিভ দিক দেখছি বলেই আলোচনা চলছে। এর আগে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক।
×