ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাসচাপায় পা হারানো রোজিনা শঙ্কামুক্ত নয়

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

বাসচাপায় পা হারানো রোজিনা  শঙ্কামুক্ত নয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাসচাপায় পা হারানো রাজিয়া খাতুন ওরফে রোজিনার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের পর তার ডান পায়ের আরও কিছু অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে। রবিবার রাত পৌনে আটটা নাগাদ রাজিয়ার পা থেকে থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তার বড় বোন জামাই মানিক। বাসসহ চালক শাহীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২০ এপ্রিল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে মহাখালী থেকে পাল্লাপাল্লি করে যাওয়ার সময় বনানীতে রাস্তা পারাপারের সময় দু’তলা বিআরটিসি বাসের চাপায় ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজিয়া খাতুন নামের এক যুবতীর। রাতেই তাকে রাজধানীর শেরেবাংলানগর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (সাবেক) ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে রাতেই তার প্রথম দফায় অস্ত্রোপচার হয়। শনিবার তাকে ওয়ার্ডে দেয়া হয়। রোজিনাকে চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ গণি মোল্লা জানান, প্রথম দফার অপারেশনে রোজিনার ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে নিচের দিকের পুরো পা কেটে ফেলতে হয়। এছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায়ই তার অবস্থার অবনতি হয়। কাটা অংশে সেপটিক হয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। রবিবার তার দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের নতুন করে হাঁটু কাছের কিছু অংশ নতুন করে কেটে ফেলতে হয়েছে। রোজিনার গৃহকর্তা সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা গণমাধ্যমকে জানান, প্রথম অস্ত্রোপচারের পর হাঁটু নিচ থেকে পুরো পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। কাটা অংশে পচন ধরায় রবিবার আবারও অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় দফার অস্ত্রোপচারে চিকিৎসকরা ডান পায়ের আরও কিছু অংশ কেটে ফেলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোজিনার জ্বর নামছে না। যা খারাপ লক্ষণ বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান। রোজিনার বড় বোন রমিজা খাতুনের স্বামী মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে জানান, ওয়ার্ডে ভর্তি করার পর প্রথম দিকে অনেকটা ভালই ছিল। এরপর আস্তে আস্তে অবস্থা খারাপের দিকে যায়। রবিবার দ্বিতীয় দফা অপারেশন হয়। রাত পৌনে আটটা নাগাদ পা থেকে থেমে থেমে রক্ত ঝরছিল বলে জানান তিনি।
×