ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় চালকরা আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি রয়েছে অনভিজ্ঞ চালক, মাদকাসক্তি ও ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে নিয়মকানুন না জেনেই গাড়ি চালানো

ঢিলেঢালা আইন ॥ দুর্ঘটনার মূল কারণ

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

ঢিলেঢালা আইন ॥ দুর্ঘটনার মূল  কারণ

গাফফার খান চৌধুরী ॥ ঢিলেঢালা ট্র্যাফিক আইনই সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাস-ট্রাক চালকরা নেমেছে অসুস্থ প্রতিযোগিতায়। ওভারটেকিং, যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, পেছনের বাসকে সামনে আসতে না দেয়ার প্রতিযোগিতা থেকে একদিকে যেমন ঘটছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, অন্যদিকে রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে দুঃসহ ট্রাফিক জ্যাম। আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি রয়েছে অনভিজ্ঞ চালক, মাদকাসক্তি, ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে নিয়মকানুন না জেনেই গাড়ি চালানো। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান স্বীকার করেন, এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন। ট্রাফিক আইন মানলে এসব দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। পাশাপাশি অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া স্বভাবের কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। ট্রাফিক বিভাগ অবশ্য বলছে, সম্প্রতি কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের পর শীঘ্রই চালু হচ্ছে পুলিশের ক্রাশ প্রোগাম। প্রোগ্রাম মোতাবেক যানবাহনকে ট্র্যাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করা হবে। ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারী চালককে তাৎক্ষণিক জেল-জরিমানা করা হবে। ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারী বৈধ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাসের জন্য অকার্যকর রাখা হবে। অবৈধ চালকের লাইসেন্স বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালকদের আইন না মানার অন্যতম কারণ হচ্ছে তাদের মানসিকতা। নগর-মহানগরীর রাস্তা এবং হাইওয়েতে ট্র্যাফিক সিগন্যালের বালাই নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত ট্র্যাফিক সার্জন বা পুলিশ গাড়ির সামনে গিয়ে না দাঁড়ায় চালকরা তাদের গাড়ি থামানোর কোন প্রয়োজনই মনে করে না। ট্র্যাফিক সিগন্যাল চালু না থাকার কারণেই চালকদের এই মানসিকতা তৈরি হয়েছে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোন চালক ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের চিন্তা করে না। এমনকি রাজধানীর মিরপুর রোড বা গুলশান এলাকায় দীর্ঘদিন ট্র্যাফিক সিগন্যাল চালু ছিল। তখন চালকরা আইন মেনেই গাড়ি চালিয়েছে। এখন চালকদের মানসিকতা এমন যে, আইন মানার দায়িত্ব তাদের নয় যতক্ষণ না তাদের আইন মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। কি কারণে ট্র্যাফিক বিভাগ সিগন্যালের ওপর ভরসা না করে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন তা স্পষ্ট নয়। ট্র্যাফিক বিভাগ থেকে বলার চেষ্টা করা হয়, রাস্তায় গাড়ির আধিক্য সিগন্যাল ব্যবস্থা অকার্যকর করে দেয়। বিশ্বের অনেক শহরেই ঢাকা বা চট্টগ্রামের চেয়ে বেশি যানবাহন চলাচল করে। সেসব শহরে সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারলে ঢাকায় কেন সম্ভব নয়; এর সঠিক জবাব কারো কাছেই পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালকদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হলে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ট্র্যাফিক সিগনাল চালু করে চালকদের তা মানতে বাধ্য করতে হবে। আইন অমান্যকারীকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবেই চালকদের শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব হবে। ঢিলেঢালা আইনের পাশাপাশি মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, আগে যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা, সড়কের তুলনায় অধিক যানবাহন চলাচলসহ নানা কারণে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। খানাখন্দ, ছিনতাই, ডাকাতিও সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করে কমপক্ষে বিশ হাজার। যার মধ্যে শতকরা ৭৫ জনই সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। সম্প্রতি ঢাকায় পাল্লাপাল্লি করে যাওয়ার সময় বাসের ঘষায় ডান হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যু, বাস চাপায় ট্র্যাফিক পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের জীবন্মৃতুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার ঘটনা, বনানীতে পাল্লাপাল্লি করে যাওয়ার সময় বাস চাপায় যুবতী রোজিনা খাতুনের ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, ধানম-িতে ট্রাকের ধাক্কায় সেবিকা মাসুদা আক্তারের মৃত্যু, গোপালগঞ্জে ট্র্যাকের ঘষায় খালিদ হাসান হৃদয়ের কাঁধ থেকে ডান হাত পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। খোদ ঢাকায় এসব সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলছেন, এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন। ট্র্যাফিক আইন মানলে এসব দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। পাশাপাশি অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া স্বভাবের কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া ভুয়া লাইসেন্স নিয়ে অনেকেই নিয়মকানুন না জেনেই বা না মেনেই গাড়ি চালানোর ফলে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। আবার অনেক চালক মাদক সেবন করে গাড়ি চালায়। তারা রাতে অনেকটাই বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায়। অনেক সময় তারা পুলিশের নির্দেশও মানে না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যেকোন আদর্শ নগরীর জন্য ওই নগরীর মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ সড়ক থাকতে হয়। ঢাকায় আয়তনের তুলনায় সড়ক রয়েছে শতকরা মাত্র ৮ ভাগ। এই ৮ ভাগের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ সারাবছর বেদখল থাকে। ঢাকায় সড়কের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা বেশি। এটিও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। ট্র্যাফিক বিভাগ বলছে, সম্প্রতি কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনার পর আবার ২০০৯ সালের মতো ক্রাশ প্রোগ্রাম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। চালু হওয়া প্রোগ্রাম মোতাবেক যানবাহনকে ট্র্যাফিক আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হবে। ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারীকে তাৎক্ষণিক জেল-জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি নগরবাসীকে ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করতে চালু করা হচ্ছে নানা জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম। রাজধানীর ৭০টি পয়েন্টে স্বয়ংক্রিয় বাতি মেরামত ও রাস্তার লেন মার্কিং করা হবে। ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে হাজার টাকা জরিমানা, ভুয়া চালকের লাইসেন্স বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারী বৈধ চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাসের জন্য অকার্যকর করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকার রাস্তা থেকে ২০ বছরের অধিক পুরনো পাবলিক যানবাহন তুলে দেয়া হবে। এসব কাজ তদাররিকর জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের ১২ ডিসিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাসে বাসে রেষারেষি করে বেপরোয়া চলাচল ও পাল্লাপাল্লির কারণে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন যাত্রীরা। যত্রতত্র বাস থামানো। রাস্তার মাঝপথে গতি কমিয়ে দেয়া, চলন্ত বাসে যাত্রী ওঠানামা করানো। ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনসহ নানা কারণে প্রাণহানি ও পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। বিষয়টি শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্র্যান্সপোর্ট অথরিটি)এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে রেজিস্ট্রেশনকৃত বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন চলাচল করছে ২৯ লাখ। যদিও বাস্তবে দেশে অন্তত ৩৫ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এরমধ্যে অন্তত ২০ লাখ যানবাহন নিয়মিত যাতায়াত করে। বাদবাকি যানবাহনের মধ্যে আরও প্রায় পাঁচ লাখ অনিয়মিতভাবে যাতায়াত করে। দেশে যে পরিমাণ রাস্তা রয়েছে তাতে ১৫ লাখ যানযাহন মোটামুটিভাবে যাতায়াত করতে পারে। সারাবছর গড়ে দেড় লাখ যানবাহন গ্যারেজে থাকে। বিপুল এই যানবাহন চালানোর জন্য রয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ বৈধ চালক। বাকিগুলোর স্টিয়ারিং ঘোরাচ্ছে অবৈধ চালকরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিডেন্টাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী, দেশে যে পরিমাণ সড়ক-মহাসড়কে রয়েছে, আর যে পরিমাণ যানবাহন চলাচল করছে তা রীতিমতো বিস্ময়ের বিষয়। সড়ক-মহাসড়কের তুলনায় অধিক পরিমাণ যানবাহন চলাচল, সড়কের দুই পাশের শতকরা ৫০ ভাগ বেদখল থাকা, সড়ক-মহাসড়কে খানাখন্দ, অদক্ষ চালক, ক্ষমতার অধিক মাল নিয়ে যানবাহনের চলাচল, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করা, পাল্লাপাল্লি করে যাওয়া, চালকদের বেপরোয়া স্বভাব, ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আব্দুল মুক্তাদির জনকণ্ঠকে বলেন, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। অন্তত ২০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। সেই পরিকল্পনায় দেশের জনসংখ্যা বিশ বছর পর কত হবে, সেই পরিমাণ মানুষের জন্য কি পরিমাণ যানবাহন প্রয়োজন, আর সেই পরিমাণ যানবাহন চলতে, কি পরিমাণ সড়ক-মহাসড়ক প্রয়োজন সেই হিসাব করে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করতে হবে। অন্যথায় সড়ক-মহাসড়ক দেশবাসীর জন্য এবং দেশের জন্য দুর্বিসহ যন্ত্রণা নিয়ে আসবে। সড়ক দুর্ঘটনা বাড়বে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হার বাড়বে আশঙ্কাজনক হারে। তিনি আরও বলেন, দেশে সাধারণত বিটুমিন দিয়ে সড়ক-মহাসড়ক নির্মিত হয়; যা সাময়িকভাবে সস্তা। কিন্তু একবছর না ঘুরতেই রাস্তার বেহাল দশা চোখে পড়ে। এজন্য দুর্ঘটনাও বাড়ে। একবার পানি উঠলেই পুরো সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। ঢাকার সড়কগুলোর ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। নষ্ট সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটা খুবই স্বাভাবিক। আর তাতে হতাহত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সড়ক ছাড়াও চালকদের মাদক সেবন, বেপরোয়া স্বভাব, ট্র্যাফিক আইন না মানা, পাল্লাপাল্লি করে যাওয়া, বাড়তি টাকা রোজগারের জন্য বেশী যাত্রীদের ওঠানোর জন্য তাড়াহুড়া করাসহ নানা কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দেশের সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করা জরুরী। এতে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে দীর্ঘস্থায়ী মহাসড়ক নির্মাণসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামসুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, শিক্ষা যদি জাতির মেরুদ- হয়, তাহলে সড়ক-মহাসড়ক দেশের মেরুদ-। এই মেরুদ- শক্ত করতে উচিত বিটুমিনের পরিবর্তে কংক্রিটের সড়ক-মহাসড়ক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা মোতাবেক নির্মাণ করা। কারণ বিটুমিনের সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। মেরামত করতে গেলেই রাস্তার একপাশ বন্ধ করতে হয়; যা তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটে বেকার বসে থাকেন মানুষ। কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর নষ্ট রাস্তায় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি ভারত মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে উন্নতমানের কংক্রিট ব্যবহার করছে। ভাল কংক্রিট দিয়ে মহাসড়ক নির্মিত হলে অন্তত বড় ধরনের কোন বিপর্যয় না হলে ৪০ বছর সেই মহাসড়কে আর হাত দেয়ার বিশেষ কোন প্রয়োজন হয় না। বর্তমান সরকার দেশে কংক্রিটের সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। সড়ক-মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট সরিয়ে দিলে যানজট কমে যাবে। দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে।
×