ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে নির্যাতিত গৃহবধূ যাবে কোথায়...?

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২২ এপ্রিল ২০১৮

নাটোরে নির্যাতিত গৃহবধূ  যাবে কোথায়...?

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ২১ এপ্রিল ॥ দুই বছর আগে শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক। এর পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক ইমরান হোসেন ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিয়ের কথা বললে প্রেমিক নানা অজুহাতে এড়িয়ে যায়। কিন্তু স্বামীর সংসার করতে নাছোড়বান্দা গৃহবধূ প্রেমিক ইমরানকে বিয়ে করাতে রাজি করান। ইমরানের খালার বাসায় নিকট কয়েকজনের উপস্থিতিতে বিয়েও হয় তাদের। কথা ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে পুত্রবধূ ঘরে তুলে নেবেন ইমরানের বাবা মোশারফ হোসেন। কিন্তু সেই শুভদিন আসছিল না স্বামী সংসারবঞ্চিত গৃহবধূর। উপায়ান্তর না দেখে শুক্রবার বিকেলে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লায় তার স্বামীর বাড়িতে যান। সেখানে পুত্রবধূর অধিকার নিয়ে স্বামীর ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে তাতে বাধা দেন শ্বশুর মোশারফ হোসেনসহ তার নিকট আত্মীয়রা। এ সময় শারীরিক নির্যাতন ও লাঞ্ছনা-ভর্ৎসনার স্বীকার হন গৃহবধূ। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এদিকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তার শ্বশুরকে থানায় ডাকা হয়েছিল। তিনি পুত্রবধূকে ঘরে তুলে নেয়ার জন্য কিছু সময় চেয়েছেন বলে জানান গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস। গৃহবধূ অভিযোগ করে জানান, গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মোশারফ হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেনের সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ইমরান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা টালবাহানার পর ইমরান তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ মার্চ ইমরান বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়ায় তার খালার বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। ১ এপ্রিল ইমরানের পিতা মোশারফসহ তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত থেকে তাদের বিয়ে দেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটা করে তাকে শ্বশুরবাড়িতে নেয়ার আশ^াস দেয়া হয়। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেলে স্বামীর বাড়িতে গেলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বের করে দেয়া হয়। তিনি তার স্বামী সংসার ফিরে না পেলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবেন না বলে জানান।
×