ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২২ এপ্রিল ২০১৮

ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২১ এপ্রিল ॥ প্রসবের জন্য কেরানীগঞ্জের একটি ক্লিনিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভর্তি হয়েছিলেন নতুনচর খাড়াকান্দি এলাকার গৃহবধূ রেজিয়া বেগম (৩০)। এ সময় তাকে বেশ কিছু ইনজেকশন ও ওষুধ দেয়া হয়। এরপর রেজিয়ার অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দ্রুত রেজিয়ার অপারেশন হলেও মৃত সন্তান প্রসব করে সে। রেজিয়ার স্বজনদের অভিযোগ, ওই ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় রেজিয়ার পেটের সন্তান মারা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ওই মেডিক্যাল সেন্টারটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন রেজিয়ার স্বজনরা। এ সময় ক্লিনিকের লোকজনের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রবিবার দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশে বসবেন ইউপি চেয়ারম্যান। রেজিয়ার খালাত ভাই জহিরুল ইসলাম জানান, রেজিয়ার স্বামী শফিকুল ইসলাম সৌদি প্রবাসী। রেজিয়ার প্রসব বেদনা উঠলে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে খাড়াকান্দি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যান স্বজনরা। রেজিয়ার নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে ৪ ঘণ্টা রাখার পর রেজিয়ার অবস্থার মারাত্বক অবনতি ঘটে। এ সময় ক্লিনিকের লোকজন রেজিয়াকে অন্য কোথাও নেয়ার কথা বলেন। পরে তারা রেজিয়াকে মিটফোর্ড হাসপাতালে আনলে এখানকার ডাক্তাররা রেজিয়ার এ অবস্থার জন্য স্বজনদের গালমন্দ করেন এবং রেজিয়ার পেটের বাচ্চা মারা গেছে বলে জানান। রেজিয়াকে বাঁচাতে তারা দ্রুত অপারেশনের কথা বলেন। রাতেই রেজিয়ার অপারেশন করে মৃত বাচ্চা বের করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা শনিবার দুপুরে খাড়াকান্দি মেডিক্যাল সেন্টার ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ক্লিনিকের লোকজনের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কলাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলী বলেন, ঘটনা শুনে ওই ক্লিনিকে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। রবিবার ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছে। ভুল চিকিৎসার বিষয়ে খাড়াকান্দি মেডিক্যাল সেন্টারের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই রোগী প্রসব বেদনা নিয়ে আমাদের এখানে এসেছিলেন। তার অবস্থা বেশি খারাপ থাকায় আমরা তাকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেছি। আমরা তাকে কোন চিকিৎসা দেইনি। তাহলে ভুল চিকিৎসা হল কিভাবে। কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম জানান, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
×