ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ॥ মেনন

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২২ এপ্রিল ২০১৮

স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ॥ মেনন

সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িকতার নিরিখে দেশগঠন করাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল। দেশে এখন সাম্প্রদায়িক মানুষ বাড়ছে। আমাদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ বের করতে হবে। শনিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলায়তনে হাসুমনি’র পাঠশালা আয়োজিত ‘দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের উত্তরণ: তরুণ প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। -খবর বিজ্ঞপ্তি হাসুমণি’র পাঠশালা সভাপতি মারুফা আক্তার পপি’র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান,পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমডি বিভাগের সচিব মোঃ মফিজুর ইসলাম এবং ঢাবি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রমুখ। সেমিনারে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সর্বস্তরে প্রযুক্তির বিস্তার ঘটছে। ফলে দুর্নীতি কমেছে। তরুণরা দিনে দিনে ডিজিটাইলাইজেশনের আওতাভুক্ত হয়েছে। তবে তরুণদের মধ্যে ফেসবুকের আসক্তি বাড়ছে। এ কারণে তরুণদের চিন্তা শক্তি কমে যাচ্ছে। তরুণরা দিনের অধিকাংশ সময় ফেসবুকে মজে থাকে। এখন আর তরুণরা ভালভাবে লেখাপড়া মনোযোগী হতে পারছে না। তাই তরুনদের ফেসবুক, ইন্টারনেটকে সামাজিক কাজে ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে তরুণদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামক এই দুইটি বই পাঠ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার স্টাফ রিপোর্টার জানান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশে প্রথম বারের মতো শুরু হয়েছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ শিরোনামে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার। আইন প্রণয়ন, আইনের বাস্তবায়ন এবং সচেতনতাই পারে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে। এই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় সচেতনতাই পারে দৃষ্টি-প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে- শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়কে পরাজিত করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ এবং ইডেন মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করছে। রাশেদ খান মেনন বলেন, মূলধারার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধীতা ইস্যু অন্তর্ভুক্তকরণের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর বিশেষ চাহিদা বিবেচনায় পর্যাপ্ত অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ কর্মসূচীর আওতায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার জন্য তিনি বেসরকারী খাতের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, ড. এস এম মোর্শেদ, মু. শাহ আলম চৌধুরী এবং নাজমা আরা বেগম পপি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান খান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
×