ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল

সুচিকিৎসার অভাবে খালেদার কিছু হলে দায় সরকারের

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২২ এপ্রিল ২০১৮

সুচিকিৎসার অভাবে খালেদার কিছু হলে দায় সরকারের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাগারে সুচিকিৎসা না দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা বার বার দাবি জানানো সত্ত্বেও তাঁকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। সুচিকিৎসার অভাবে কারাগারে খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারের। পছন্দ মতো চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দিতে অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। ফখরুল বলেন, গত ক’দিন ধরে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপি নেতা ও আত্মীয় স্বজনসহ কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার কূটকৌশল করছে। তাকে নিয়মিত থেরাপি দেয়া দরকার। কিন্তু কারাগারে সেটা সম্ভব নয়। কারাগারে খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তাকে অর্থোপেডিক বেড দেয়া হয়নি। ‘হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের এই বক্তব্য ভয়ঙ্কর অশনিসঙ্কেত। কারাগার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব পুরোটাই সরকারকে বহন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করে সোজা পথে তাকে মুক্তি দিতে হোক। ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য কারাগারে ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা যে খবর পাচ্ছি তাতে সমগ্র জাতি উৎকণ্ঠিত। শুক্রবার তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাত করতে পারেননি। তার আগে ১৮ এপ্রিল আমিসহ বিএনপির ৩ সিনিয়র নেতাকে কারাফটক থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় ১০ দিন যাবত খালেদা জিয়ার সঙ্গে কেউ সাক্ষাতের সুযোগ পায়নি। এতে করে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চান। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সংবাদপত্র সূত্রে জানতে পেরেছি, সম্প্রতি সরকারের একটি মেডিক্যাল টিম বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রফেসর মালিহা রশীদের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম তাকে দেখতে যান। তারা বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়াকে সে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। সুচিকিৎসার জন্য আমরা বিএনপি চেয়ারপার্সনকে অবিলম্বে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া বেশ কিছু ব্যাধিতে আক্রান্ত। এর মধ্যে রিউমেটিক আর্থারাইটিস তাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে খালেদা জিয়ার এক্সরে ও রক্ত পরীক্ষা করানো হলেও এমআরআইসহ আরও পরীক্ষা না করায় আমরা উদ্বিগ্ন। কারাগারে তাঁকে যে কক্ষে রাখা হয়েছে, তা পরিত্যক্ত কারাগারের স্যাঁতসেঁতে একটি কক্ষ। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কিছু না বলার বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, সরকার রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখতেই তাকে বন্দী করে রেখেছে। ভয় পায় বলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় না- খসরু ॥ ভয় পায় বলেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত ‘নাগরিক অধিকার ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আমীর খসরু বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকতে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে উন্নয়নের কথা বলে যাচ্ছে। অধিকার কেড়ে নিয়ে যখন বারবার উন্নয়নের কথা বলতে থাকে তখন বুঝতে হবে এটা একটা নিশ্চিত স্বৈরাচার সরকার। যুগে যুগে এটা হয়ে আসছে।
×