ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গমের উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকরা

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ২১ এপ্রিল ২০১৮

গমের উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ সারাদেশে যে পরিমাণ গম উৎপাদন হয় তার ৫ ভাগের একভাগ গম উৎপাদন হয় ঠাকুরগাঁও জেলায়। আগের বছর গুলোতে সরকারি খাদ্যগুদামে সরাসরি গম বিক্রি করতে না পেরে এমনিতেই এ জেলার গমচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিগত মৌসুমে সরকার গম চাষীদের লোকসান ঠেকাতে প্রনোদনা দিয়ে সরকারি গুদামে গম বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করলেও চাষীরা সে সুবিধা পায়নি। চলতি মৌসুমে সরকারি ভাবে গম ক্রয়ের ঘোষণা না দেওয়ায় গমের মূল্য চরম ভাবে কমেছে। ফলে গম চাষীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬৮ হাজার ৮২৫ হেক্টরে। আবাদ হয় ৬৫ হাজার ৫০০ হেক্টরে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ দশমিক ৪৫ টন। চলতি মৌসুমে জেলায় গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর। গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২ লাখ পাঁচ হাজার ৩৪৫ টন। এ পর্যন্ত জেলার উৎপাদিত ৮৩ ভাগ গম কাটা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫০ টন। এবার ৫০ শতকের বিঘায় গম আবাদ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে সাত থেকে আট হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় গম উৎপাদন হয়েছে ১৫-১৬ মণ। গমের বাজারদর চলছে মণপ্রতি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। উৎপাদনে সময় লেগেছে পাঁচ মাস। এতে করে নিজের জমিতে আবাদ করে কিছুটা লাভবান হলেও লোকসানে পড়েছেন জেলার বর্গাচাষিরা। ফলে তাদের ঋণের পাল্লা ভারী হচ্ছে। আর প্রতিবছরের মতো এবারও গম সংরক্ষণ করে লাভবান হচ্ছেন মিলার ও পাইকাররা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এবার কৃষকের কাংক্ষিত গম উৎপাদন হয়নি। আমরা আশা করছি গড় উৎপাদন ঠিক থাকবে। লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে। ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংগ্রহ অভিযানটি যদি সঠিক সময়ে করা হতো তাহলে প্রকৃত চাষিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পেয়ে লাভবান হতেন। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি মাথায় রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
×