ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা বিষয় ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ২১ এপ্রিল ২০১৮

অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা  বিষয় ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

প্রশ্ন-০৫ : চোরাই কপি বলতে কী বুঝ? কয়েকটি সাইভার অপরাধ সম্পর্কে যা জান বর্ণনা কর। উত্তর : চোরাই কপি : কোন সৃজনশীল কর্মের কপিরাইট ভঙ্গ করে, যদি সে পুনরুৎপাদন করা হয়, তখন সেটিকে চোরাই কপি বলা হয়। কয়েকটি সাইবার অপরাধ : তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে এই অপরাধগুলো করা হয় এবং অপরাধীরা সাইবার অপরাধ করার জন্য নিত্যনতুন পথ আবিষ্কার করে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রচলিত কিছু সাইবার অপরাধ এ রকম : স্প্যাম : আমরা যারা ই-মেইল ব্যবহার করি তারা সবাই কমবেশি এই অপরাধটি দিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। স্প্যাম হচ্ছে যন্ত্র দিয়ে তৈরি করা অপ্রয়োজনীয়, উদ্দেশ্যমূলক কিংবা আপত্তিকর ই-মেইল, যেগুলো প্রতি মুহূর্তে আমাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। স্প্যামের আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নিতে গিয়ে সবার অনেক সময় এবং সম্পদের অপচয় হয়। আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ : অনেক সময়েই ইন্টারনেটে কোন মানুষ সম্পর্কে ভুল কিংবা আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেয়া হয়। সেটা শত্রুতামূলকভাবে হতে পারে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হতে পারে কিংবা অন্য যে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে হতে পারে। তথ্য প্রকাশ করে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করায় বাংলাদেশে কয়েকবার ইন্টারনেটে ফেসবুক বা ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সেবা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। হুমকি প্রদর্শন : ইন্টারনেট, ই-মেইল বা কোন একটি সামাজিক হুমকি যোগাযোগের সাইট ব্যবহার করে কখনো কখনো কেউ কোন একজনকে নানাভাবে জ্বালাতন করতে পারে। ইন্টারনেটে যেহেতু একজন মানুষকে সরাসরি অন্য মানুষের মুখোমুখি হতে হয় না, তাই কেউ চাইলে খুব সহজেই আরেকজনকে হুমকি প্রদর্শন করতে পারে। সাইবার যুদ্ধ : ব্যক্তিগত পর্যায়ে একজনের সঙ্গে আরেকজনের সংঘাত অনেক সময় আরও বড় আকার নিতে পারে। একটি দল বা গোষ্ঠী এমন কী একটি দেশ নানা কারণে সংঘবদ্ধ হয়ে অন্য একটি দল, গোষ্ঠী বা দেশের বিরুদ্ধে এক ধরনের সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। ভিন্ন আদর্শ বা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে এবং সেখানে অনেক সময়ই সাইবার জগতের রীতিনীতি বা আইনকানুন ভঙ্গ করা হয়। ৬. প্রশ্ন : দুর্নীতি নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার লেখো। উত্তর : দুর্নীতি নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিচে দেয়া হলো- ১. বর্তমানে তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া করার জন্য পুরো পদ্ধতিকেই তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনতে হয়েছে। তাই কোন তথ্য ভুল হলে বা লেনদেনে অনিয়ম হলে তা সহজেই সবার সামনে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। ২. টেন্ডার প্রক্রিয়াটি আগে লিখিতভাবে হতো, কিন্তু বর্তমানে ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে এর আর্থিক লেনদেনে বা টেন্ডার চুরির ঘটনা কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ই-টেন্ডার করার জন্য বিশেষ পোর্টাল তৈরি হয়েছে। ৩. ই-কমার্স প্রক্রিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য হওয়ার কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। যাতে মধ্যভোগী লোকেরা কোন সুযোগ নিতে পারছে না। ৪. পরীক্ষার ফলাফল দেখার ক্ষেত্রে ওএমআর পদ্ধতি ব্যবহার করায় দুর্নীতির কোন সুযোগ থাকছে না। ৫. এখন ইন্টারনেটের কারণে, মিডিয়ার কারণে ক্ষমতাশীল মানুষের বিরুদ্ধে, তাদের অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষের মতামত প্রদানের এবং একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে কেউ চাইলেই দুর্নীতি করতে পারবেন না। ৭. প্রশ্ন : সাইবার অপরাধ কী? কীভাবে সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়, সংক্ষেপে লেখ। উত্তর : সাইবার অপরাধ হলো এমন এক ধরনের অপরাধ, যা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের কারণে আমাদের জীবনে যেমন অনেক নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক সে রকম সাইবার অপরাধ নামে পরিচিত সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক অপরাধের জন্ম হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে এ অপরাধগুলো করা হয় এবং অপরাধীরা সাইবার অপরাধ করার জন্য নিত্যনতুন পথ আবিষ্কার করে যাচ্ছে। নানাভাবে সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়। ইন্টারনেটে ব্যবহৃত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যদি আমরা সচেতনভাবে গ্রহণ করতে না পারি, তবে এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর মধ্যে একটি হলো স্প্যাম ই-মেইল। এ স্প্যাম ফোল্ডারে নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় ও উদ্দেশ্যমূলক ই-মেইল আসে, যার মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধীদের দ্বারা অনেকেই আক্রান্ত হয়। সাইবার অপরাধের একটা বড় অংশ হলো প্রতারণা।
×