স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে দাম্পত্য কলহের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হাকিম বেপারী ওরফে বাদশা নামের এক প্রবাসীকে খুন করেছে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম। নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে (৪০) আটক করেছে।
ঘটনাটি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রামের। জানা গেছে, দশ বছর আগে প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফেরা তিন সন্তানের জনক হাকিম বেপারী ওরফে বাদশার (৫৫) সঙ্গে গৃহপরিচারিকা অজুফা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি বাদশা তার বসতঘরের সামনে অজুফাকে থাকার জন্য আরেকটি ঘর নির্মাণ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরেই বৃহস্পতিবার রাতে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মর্জিনা বেগম তার স্বামী হাকিম বেপারী ওরফে বাদশাকে খুন করে।
আদমদীঘিতে
স্কুলশিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা সান্তাহার থেকে জানান, পরকীয়ায় আসক্ত এক স্কুল শিক্ষককে কুপিয়ে ও গোপনাঙ্গ কেটে খুন করার ঘটনা ঘটেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ডুমুরীগ্রাম গ্রামের মধ্যপাড়ায়। এ ঘটনায় পুলিশ একই গ্রামের স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে। জানা গেছে, উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের ডুমুরীগ্রাম গ্রামের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ওই গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ(৫৭) শিক্ষকতার পাশাপাশি মাছচাষ করে আসছিল। গ্রামে থাকা তার পুকুরে চাষ করা মাছের খাদ্য দিতে প্রতিদিনই তার পুকুরে যেতেন।
এর এক পর্যায়ে পুকুর পাশের বাসিন্দা কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আফরোজা বেগমের সঙ্গে গল্প করা থেকে শুরু হয় পরকীয়া। দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলার সময় বছরখানেক পূর্বে পাড়াপ্রতিবেশীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশে ওই শিক্ষকের মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়। এ ঘটনার পর কৃষক রাজ্জাক তার স্ত্রী আফরোজাকে নিজ আয়ত্তে রাখতে পারলেও শিক্ষক রশিদ পরনারীর লোভ সামলাতে পারেনি। সালিশ ঘটনার কিছুদিন পর থেকে সে ফের আফরোজাকে তার খপ্পরে ফেলার চেষ্টা করে আসছে। ঘটনাটি আফরোজা বেগম তার স্বামীকে অবহিত করে।
কিশোরগঞ্জে কবিরাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান. পূর্বশত্রুতার জেরে চাঁন মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সদরের যশোদল আমাটি শিবপুরের মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে নিহত চাঁন মিয়া এলাকায় কবিরাজি ছাড়াও কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা সদরের সতাল পাক্কার মাথায় এ হত্যাকা-ের পরপরই থানা পুলিশ ঘাতক জাকির হোসেনকে (২৬) আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৪ বছর আগে যশোদল আমাটি শিবপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রাখত। কবিরাজ চাঁন মিয়া ওষুধ দিয়ে জাকিরের স্ত্রীকে অন্যদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখত। এ কারণে কবিরাজ চাঁন মিয়ার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল জাকির। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে কবিরাজ চাঁন মিয়াকে গুরুতর আহত করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুরে যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা শেরপুর থেকে জানান, শেরপুরে ধানক্ষেত থেকে বাবুল মিয়া (২৪) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের চরবাবনা কান্দাপাড়া এলাকা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত বাবুল স্থানীয় আরশাদ আলীর ছেলে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে বাবুল মিয়া পাশের গ্রাম মুন্সীরচর মামারবাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে নিজ বাড়ি আসার পথে নিখোঁজ হয়। রাতভর তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের কাছে শুনতে পান ওই এলাকায় ধানক্ষেতে একটি লাশ পড়ে আছে।
দাউদকান্দিতে কসাই
নিজস্ব সংবাদদাতা দাউদকান্দি থেকে জানান, উপজেলার তুজারভাঙ্গা পূর্বপাড়া এলাকায় কসাই হোসেন মিয়া (৩৫) কে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশ ফেনসিডিল বিক্রেতা রোজি আক্তার তার পুত্র অন্তর ও পুত্রের বন্ধু সজিবকে আটক করে । ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে।