ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিরপুর মাজার রোড দখল করে কাঁচাবাজার

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২১ এপ্রিল ২০১৮

 মিরপুর মাজার রোড দখল করে কাঁচাবাজার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিরপুরের মাজার রোডের সব প্রান্তেই চলছে দখলদারদের রাজত্ব। উন্নয়নের নামে দীর্ঘদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ি, হকারদের ফুটপাথ দখলসহ জলজট ও যানজটে এলাকাবাসীর নাভিশ্বাস পরিস্থিতি। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা দলের প্রভাব খাটিয়ে ফুটপাথের এখানেসেখানে বসিয়েছেন দোকান। কোথাও বসিয়েছেন কাঁচাবাজার। মাসে মাসে ভাড়া তুলছেন আর বখরার বিনিময়ে বছরের পর বছর তা বহালতবিয়তে টিকিয়ে রাখছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুরে মাজার রোডজুড়ে রাস্তার ওপরই বসেছে কাঁচাবাজার। রাস্তার একপাশে ময়লার ট্যাঙ্ক। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই বাজারের পাশে শাহ আলী মহিলা কলেজ। ফলে রাস্তার প্রশস্ততা চার শতাংশের তিন শতাংশই দখলদারদের কবলে। এই কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শহীদ মিয়া বলেন, নেতাদের প্রতিদিন ১০০ টাকা করে দিতে হয়। এখানকার প্রতিটি দোকান থেকে কয়েক নেতা ভাগাভাগি করে ভাড়া তোলেন। এই কলেজের ছাত্রী সোহেলি ইসলাম বলেন, পরিবেশ খারাপের কারণে কলেজে ছাত্রী ভর্তি হতে চায় না। হকারদের যন্ত্রণায় ঠিকমতো রাস্তা দিয়ে হাঁটাই যায় না। এছাড়া আতঙ্কে থাকতে হয়। কারণ এখানে মাদকসেবীদেরও আনাগোনা বেশি। সবজি ব্যবসায়ী কবিরুল ইসলাম বলেন, গরিব মানুষ, ভ্যানে করে হেঁটে হেঁটে কাঁচামাল বিক্রি করতাম। এখন এখানে বাজার বসে, তাই দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছি। পরিশ্রমও কম হয়, বিক্রিও ভাল। কিন্তু যেদিন বিক্রি কম হয়, টাকা কম দেয়া যায় না। দিলে গালমন্দ খেতে হয়। কলেজের দারোয়ান শুক্কুর আলী বলেন, রাস্তার ওপর হকারদের বাজার বসায় পথচারীকে প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়তে হয়। পুলিশের সামনেই বখাটে নেশাখোররা ঘুরে বেড়ায়, হেরা দেখেও দেখে না। এ বিষয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন মোল্লা রাস্তা দখল করা বাজারের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, এই জায়গা দখল করে সবাই খাচ্ছে। পুলিশ, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা সবাই। হকারদের এখানে কোন দোষ নেই। তারা পেটের দায়েই বসেছে। এ প্রসঙ্গে ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন তিতু বলেন, বরাবরই চেষ্টা করে যাচ্ছি রাস্তার ওপর থেকে বাজার সরিয়ে নিতে। তা ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে শাহ আলী কমপ্লেক্স নামে একটি মার্কেট করা হয়েছে। এটি উদ্বোধন হলেই রাস্তার ওপর আর বাজার বসতে দেয়া হবে না।
×