ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্রগতির রথে উন্নয়নের পথে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২১ এপ্রিল ২০১৮

অগ্রগতির রথে উন্নয়নের পথে

শিরোনামটি দেখে কেউ বলবেন শেখ হাসিনার ‘চামচা’, কেউ বলবেন বিবেকহীন দলীয় আনুগত্য। আমি বলি চামচা যদি হতেই হয় তবে শেখ হাসিনারই হওয়া ভাল। কেননা এই একটি জায়গায় থাকলেই কেবল সম্মানের সঙ্গে কাজ করা যায় ও কিছুটা হলেও নাগরিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব এবং সেই সুবাদে জাত্যাভিমানের অংশীদার হওয়া যাবে। আর সব তো কেউ কোর্টের রায়ে দুর্নীতিপরায়ণ, কেউ রাজাকার-স্বাধীনতাবিরোধীদের ভাই-বোন অথবা মাতা-পুত্র। তারপরও বলব ‘চামচা’ বা ‘বিবেকহীন দলীয় আনুগত্য’ শব্দাবলী কোনভাবেই সভ্য-ভব্য শালীন শব্দ নয়। তবে যেহেতু শুনতে হয় সেহেতু জবাব দেয়া দরকার। এর বাইরেও একটা কথা আছে, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে যখন শুনলাম বাংলাদেশ ‘স্বল্পোন্নত’ দেশের কাতার পেছনে ফেলে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে উঠে এসেছে! সেদিন কি যে ভাল লেগেছিল, এটাই তো বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন। এর জন্য সারাজীবন লড়াই করেছেন, জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। আজও যেটা সত্যি, তাহলো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতির হাল ধরেছেন বলেই আমরা তীরে তরী ভেড়াতে সক্ষম হয়েছি এবং সম্মুখপানে এগিয়ে চলেছি। কিন্তু বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে শুয়ে-বসে, খেয়ে-দেয়ে সাংঘাতিক আক্রোশ নিয়ে সকাল-বিকেল সংবাদ সম্মেলন করা রিজভী ভদ্রলোক ‘উন্নয়নশীল দেশ’Ñ এই ঘোষণাকে ‘তামাশা’ বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। দেশের মানুষ তার এই বিবেকহীন বিরোধিতাকে মোটেই গ্রাহ্য করেনি, করবেও না। কারণ মানুষ খেয়ে-পরে ভালভাবেই আছে, বরং তারা ওই ভদ্রলোককে করুণাই করছে, করবে। কেননা, তার কারাভোগী ম্যাডাম ও তার আগের মিস্টার মিলিটারি ‘জিয়াউর রহমান’ এবং বিচারপতি সাত্তার ও মিলিটারি এরশাদ সর্বসাকুল্যে ২৬ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন এবং ক্ষমতা উপভোগ করেছেন। এই দীর্ঘ সময়ে যদি কোন সাফল্যের উল্লেখ করতে হয় তা হল ‘হাওয়া ভবন’ নামক টাকশাল আর ‘খোয়াব ভবন’ নামের বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা। এরশাদ তো মোটামুটি নানা কেলেঙ্কারির জন্মদাতা। বিএনপি যখন বড় গলায় বলে খালেদা জিয়া বা তারেক মা-বেটা কোন দুর্নীতি করেননি তখন এর উত্তরে বলতে হয় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ যখন লাখ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করলেন তখন এটাকে কি বলা হবে? বিদেশে কত টাকা পাচার করেছেন তা না জানা গেলেও, এটা কি মিথ্যা যে, তাদের পাচার করা ২০ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনা হয়েছে? তারপরও তারেক এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কি করে লন্ডনে অভিজাত এলাকায় বিলাসী জীবনযাপন করছেন। ছোট ছেলে মারা গেছেন, তারপরও তার স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন? ব্রিটিশ গবর্নমেন্ট তারেককে সস্ত্রীক সন্তান নিয়ে বসবাসের জন্য গাড়ি-বাড়ি ভাতা দিয়েছে বলে শুনিনি। পরন্তু তারেক দীর্ঘ সাজাপ্রাপ্ত এবং ফেরারি। তা-ও আবার দুর্নীতির দায়ে। এ ছাড়াও তারেকের ওপর শেখ হাসিনার সমাবেশে সিরিজ গ্রেনেড হামলা, ২৩ জনের মৃত্যু ও কয়েক শ’ নেতাকর্মী আহত হওয়ার মামলা ঝুলছে। খালেদা জিয়ারও আরও অনেক মামলা পেন্ডিং রয়েছে বলে শুনেছি। তবে এটা ঠিক জিয়া পরিবারের বেশ কিছু পুঁজি আছে, যেগুলো একদিকে যেমন তাদের পাকিস্তানপ্রীতির ডিবিডেন্ট দিচ্ছে, অপরদিকে বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে চরম নেগেটিভ রোল প্লে করছে। তাদের পাকিস্তানপ্রীতি যেমন প্রভুর জায়গা করে দিয়েছে, তেমনি ৩০ লাখ শহীদ ও ৫ লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনের অভিশাপ এবং সাধারণ জনগণের ঘৃণা তাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। জিয়া থেকে খালেদা জিয়া পর্যন্ত রাজাকার, আলবদর, আলশামস তথা স্বাধীনতাবিরোধীদের ট্র্যাকে উঠে ও গোটা জাতির বৈরী প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে এবং যতই জাতীয়তাবাদী বলে গলা ফাটাক আসলে তারা বিজাতীয়তাবাদী এবং পরাজিত পাকিস্তানবাদী, যা আজকের বাংলাদেশে অচল। আজকের তরুণ প্রজন্ম তো স্বাধীনতাবিরোধীদের মোটেই পছন্দ করে না। তাই জঙ্গী সৃষ্টি করে দেশে নাশকতা করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তারা পবিত্র ধর্মকে ব্যবহারে কিছু তরুণ-তরুণীকে বিভ্রান্ত করে সমাজে বিশৃঙ্খলা, হত্যার মতো ঘটনা ঘটাবার চেষ্টা করে চলেছে। এটাও ঠিক, পুলিশ-র‌্যাব তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে পারছে না। ধরা পড়ছেই। সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তো রয়েছেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ এটি আজ বাংলাদেশের ১৬ কোটি (আরও বেশিও হতে পারে) মানুষকে বিশ্বের এক শক্তিশালী রাষ্ট্রের শক্তিশালী নাগরিক হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি যুগিয়েছে। একবার আমি লিখেছিলাম: ক. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সম্মান করুন, পথ খুঁজে পাবেন খ. জাতির পিতার নীতি-আদর্শ অনুসরণ করুন, সাফল্যের দ্বার উন্মোচিত হবে গ. জাতির পিতার কন্যার মতো সৎ, মেধাবী, শিক্ষিত, মোহমুক্ত নেতৃত্বের উদাহরণ মেনে চলুন, এগোতে পারবেন ঘ. জিয়া-সাত্তার-এরশাদ-খালেদার ২৬ বছরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার সাড়ে ১৮ বছর তুলনা করুন, শিখতে পারবেন, লজ্জার কিছু নেই ঙ. রাজনীতি করতে হলে বা জাতির নেতৃত্ব দিতে হলে ‘আন্ডার ম্যাট্রিক গ্র্যাজুয়েট নয়, গ্র্যাজুয়েট পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী প্রয়োজন। ডিগ্রীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডর মাড়াতে হয়, মাড়াতে মাড়াতে কিছু বিদ্যা ঘটে ঢুকে যেতেও পারে। ডিগ্রী ছাড়া স্বশিক্ষায় ঘট ভরে না। সবাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ নয়, প্রেমী ও বিদ্রোহী নজরুলও নয়। যারা হতাশায় ভোগেন বা উন্নয়ন-অগ্রগতিকে ‘তামাশা’ বলেন, তাদের বলব ওপরের কথাগুলো পড়–ন, অনুধাবন করুন, নৈতিক শক্তি বেড়ে যেতে পারে। অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত মানুষের পিছু হাঁটলে একদিন হতাশা আসবেই, এটাই জীবনের গতি-প্রকৃতি। যে কারণে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে বসে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী ‘উন্নয়নশীল বাংলাদেশে’ উত্তরণকে যতই তামাশা বলুন, তা- বলছেন অযোগ্য অশিক্ষিত নেতৃত্বের পেছনে ঘুরে ঘুরে চরম হতাশা থেকেই। এই হতাশা থেকে বেরোতে হলে দল পরিচালনায়, রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বুঝতে হবে, বুঝে রাজনীতি করতে হবে। এর বাইরেও রাজনীতি করা যাবে, তবে তা হবে জামায়াতের টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মতো। নইলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালেই বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশের চার দেয়ালের ভিতর থেকে বের করে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশের পর্যায়ে উন্নীত করেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের পর্যায়ে আসতে পরবর্তী দশকই যথেষ্ট ছিল; ঘাতক বুলেট তা কেড়ে নিল। কিন্তু একেবারেই থামিয়ে দিতে পারেনি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশ ও জাতির হাল ধরলেন এবং অতি অল্পদিনেই পিতার মতো নেতৃত্বের ক্যারিশমা দিয়ে ২১ বছর পর রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এবং ব্যক্তি জীবনের সততা, সাহস, প্রজ্ঞা, মেধা, দূরদর্শিতা দিয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হলেন। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তৃতীয়বারের মতো কেবল বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের দ্বিতীয় সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ স্বীকৃত এবং সম্মানিত। প্রথমবার ৫ বছর (১৯৯৬-২০০১), দ্বিতীয়বার ৫ বছর (২০০৯-২০১৩) এবং তৃতীয়বার ৪ বছর ৪ মাস (২০১৪- অদ্যাবধি) মোট সাড়ে ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের তথা প্রধানমন্ত্রিত্বের সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী ঈর্ষণীয়। বিশ্ব নেতৃত্ব অবাক-বিস্ময়ে তাকিয়ে উচ্চারণ করেন কি করে সম্ভব করলেন শেখ হাসিনা? তার ক্যারিশমার দু’-একটি তথ্য : ক. এ মুহূর্তে আমাদের গড় আয়ু ৭২ বছর ৮ মাস, খ. শিক্ষার হার ৭১%, গ. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ঘ. মাথাপিছু আয় ১৬২০ মার্কিন ডলার থেকে গত এক বছরে ১৪২ ডলার বেড়ে ১৭৫২ ডলার। বিপরীতে মূল্যস্ফীতি ৬%-এর নিচে, ঙ. জাতীয় প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে ৭%-এর ওপরে। এবার ৭.২৮%, চ. বাংলাদেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত, ছ. মৎস্য উৎপাদনে ৩য়, এখন মানুষ বলতে শুরু করেছে- ডাল ভাত নয়, মাছ-ভাতের আমন্ত্রণ, জ. সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, ঝ. বাজেটের আকার ৪ লক্ষাধিক কোটি টাকা, ঞ. নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, ত. কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বন্দর স্থাপনের পাশাপাশি ২০২১-এ ২৪ হাজার মেগাওয়াট টার্গেট করে রামপালসহ একটার পর একটা বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন, থ. এখন লোডশেডিং কালে-কস্মিনে হয়। একবারে ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় না, দ. বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, ধ. জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার, ন. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, প. সর্বোপরি দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা মূলধারায় পরিচালনা করছেন, ফ. হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন বানানোর মতো নীচতা জীবনে স্থান দেননি, ব. বছরের প্রথম দিনই বিনামূল্যে ৩৪ কোটি পাঠ্যবই বিতরণ করেন। এসব সম্ভব হয়েছে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস এবং শেখ হাসিনার মাথার ওপর জাতির পিতার আশীর্বাদ, নীতি, আদর্শ, সততা ও দেশপ্রেমের উদাহরণ আছে বলে। জাতির পিতা তাঁর প্রতিটি বক্তৃতা-বিবৃতিতে ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’ বলে যে প্রত্যয়ের উদাহরণ রেখে গেছেন শেখ হাসিনা তা শ্রদ্ধাভরে অনুসরণ করে চলেছেন। জাতির পিতা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দুটি শব্দ ব্যবহার করতেন- ‘আমার গরিব-দুঃখী মানুষ।’ শেখ হাসিনা কথাটাকে অনুসরণ করে মুক্তবাজার অর্থনীতির মধ্যেও গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য ওয়েলফেয়ার রাষ্ট্রের নীতি অনুসরণ করেছেন। যেমন তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনযাপন মধ্যবিত্ত পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একই সঙ্গে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা বাড়িয়েছেন। উপবৃত্তির টাকা সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের মায়ের কাছে মোবাইল টু মোবাইলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। সর্বোপরি ঢাকা থেকে ভাঙ্গা, ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা কিংবা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ৪ লেনে উন্নীত এবং ডবল সেতু নির্মাণ- মোটকথা দেশব্যাপী অবকাঠামো উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে যা নজিরবিহীনই বলা চলে। সর্বশেষ যে কথাটি বলব তা হচ্ছে, শেখ হাসিনা বহির্বিশ্বেও কূটনৈতিক সাফল্য উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন (এ মূহূর্তে লন্ডনে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন) সর্বত্র মধ্যমণি হয়ে ভূমিকা রাখছেন। রোহিঙ্গা ইনফ্লাক্স বা শরণার্থী সঙ্কটকে মানবিক দৃষ্টিকোণ ও দূরদৃষ্টি দিয়ে গ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী যে সম্মান অর্জন করেছেন তা নজিরবিহীন। যে কারণে অতীতের সকল উপাধি ও ডক্টরেট ডিগ্রীকে ছাপিয়ে তিনি আজ ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ এবং ‘স্টার অব দ্য ইস্ট।’ এসব কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচনে জনগণ একটি যোগ্য, শিক্ষিত, সাহসী, দূরদর্শী নেতৃত্বকেই ভোট দেবে বলে বিশ্বাস করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশর্তবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপন করে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতার থেকে ‘উন্নত বাংলাদেশের’ মহাসড়কে পা রাখবে। ঢাকা ॥ ১৯ এপ্রিল ২০১৮ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×