ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দাবি

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২১ এপ্রিল ২০১৮

বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দাবি

নিখিল মানখিন ॥ আসছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জাতীয় মোট বাজেটের বিবেচনায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ হ্রাস পাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ‘বছর ওয়ারী’ স্বাস্থ্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির হার প্রায় ৫০ ভাগ হারে কমে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের সবদিক বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়ানোর পাশাপাশি দূর করতে হবে বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। আর ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন (নিরাময়মূলক) ও সামাজিক উপাদান (প্রতিরোধমূলক) উভয়কেই সমান গুরুত্ব দিয়ে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। সীমিত বরাদ্দ দিয়েই স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে অর্জিত সুনাম অব্যাহত রাখতে এবং গৃহিত পরিকল্পনাসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতেই হবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের হার কিছুটা বাড়লেও প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল অপর্যাপ্ত। আর দেশে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচী ’ বাস্তবায়ন করতে হলে স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করতেই হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করা গেলে দেশের দারিদ্র্যের হারও হ্রাস পাবে। গত ১৩ বছরে স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দের চিত্রের দিকে তাকালে দেখা যায়, মোট জাতীয় বাজেট বরাদ্দের তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের হার বরাবরই অবহেলিত হয়ে আসছে। অথচ প্রতি অর্থবছরেই মোট বাজেটের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত ১৩ বছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ প্রস্তাবের গড় হার ছিল মাত্র ৬.০৯। অর্থাৎ গত ১৩ বছরে মোট জাতীয় বাজেট বরাদ্দের তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের হার ছিল যথাক্রমে ৬.৪৭, ৫.৬২, ৬.৫০, ৬.৫৫, ৬.৮০, ৬.৫৯, ৫.৯০, ৬.১৩, ৬.১৬, ৫.৪৩, ৪.৮৬, ৪.২৬, ৪.৪৫ ও ৫.২ ভাগ। স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অর্থ বরাদ্দের তুলনায় বাংলাদেশের বরাদ্দ পরিমাণটির মধ্যেও একটি দারিদ্র্যের ছাপ সুস্পষ্ট। গত ১৩ বছরের বাজেট অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু বরাদ্দের পরিমাণও ছিল খুবই কম। স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু বরাদ্দ ২০০২-০৩ অর্থবছরে ২৩৪.৬৪ টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ২২৪.৭৬ টাকা, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ২৮৭ টাকা, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৩১৪ টাকা, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৩৫৪.৩৭ টাকা, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৪১০.৭১ টাকা, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৪২১.২৬ টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৪৯৮.৫৭ টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৫৪৩.২৬ টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৬০০.৬০ টাকা ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৪১০.৮৮ বরাদ্দ ছিল। স্বাস্থ্য খাতে গত ২০০২-০৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা, ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে ৩ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৪ হাজার ২৪০ কোটি, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৭ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৫ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৬ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৮ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৮ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৯ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। স্বাস্থ্য খাতে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল মোট ১২ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৪.৩০ শতাংশ। আর গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সার্বিক উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে এ খাতের জন্য ১১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। যা মোট বাজেটের ৪.৪৫ শতাংশ ছিল। এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে মোট বাজেটের ৪.৮৬ শতাংশ বরাদ্দ ছিল। স্বাস্থ্য খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আগামী বাজেটে অনুন্নয়ন-উন্নয়ন মিলে মোট ১২ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যা মোট বাজেটের ৪.৩০ শতাংশ। আর গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সার্বিক উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে এ খাতের জন্য ১১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। যা মোট বাজেটের ৪.৪৫ শতাংশ ছিল। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে ২০ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, যা ছিল প্রস্তাবিত মোট বাজেটের ৫ দশমিক ২ শতাংশ। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় আসন্ন বাজেটে (অর্থবছর ২০১৮-১৯) স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব কাজ পরিচালিত হচ্ছে। যন্ত্রপাতি কেনা থেকে শুরু করে সকল কেনাকাটায় পৃথক কমিটি করা হয়েছে। কোন যন্ত্রপাতি কেনার প্রয়োজন হলে কমিটির অনুমোদন নিতে হয়। সীমিত বাজেট নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্য তৃতীয় বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় অনেক ভাল। তাই স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। এ খাতে আরও বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। সরকারী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন ॥ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, স্বাস্থ্য খাতে গত মেয়াদের অর্জন ইতোমধ্যে দেশে ও বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রতি ৬ হাজার জনের জন্য ১টি হিসেবে ১৩ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতোমধ্যে ১২ হাজার ৫৫৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে, নির্মাণাধীন রয়েছে ৯৪৩টি। এ ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রসূতিদেরও চিকিৎসাসেবা প্রদান কর হচ্ছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মাতৃমৃত্যু হার আরও কমিয়ে আনাই মূল উদ্দেশ্য। শিশুমৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও এ হার আরও কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে গড় আয়ু ৭২ বছরে উন্নীত করা হবে, জন্মহার হ্রাসের লক্ষ্যে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার প্রচেষ্টা চানানো হবে। এবারে দায়িত্ব গ্রহণ করেই মাঠ পর্যায়ে ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি টেলিমেডিসিন সেবা আরও সম্প্রসারণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসা সেবার খরচ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নাগালে আনতে যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে সামাজিক স্বাস্থ্য বীমা চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক স্বাস্থ্যবীমা চালুর প্রাথমিক উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। সরকারের সহায়ক নীতি-পরিবেশের কারণে ইতোমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বেশ কটি সরকারী ও বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও মেডিক্যাল টেকনলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত শিক্ষা সম্প্রসারণের পাশাপাশি এর মানোন্নয়নের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে চিকিৎসা ও চিকিৎসা শিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে। ইউনানী, আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথিসহ দেশজ চিকিৎসার উন্নয়নে কাজ করা হবে। ভেষজ ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। কাজ চলছে ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি আধুনিকায়নের। সারাদেশে একের পর এক নতুন মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, ক্লিনিক, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হচ্ছে। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন পুরনো স্থাপনা ভেঙ্গে সংস্কার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে বার্ন ইউনিটসহ প্রয়োজনীয় বিভাগ চালু করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। থানা পর্যায়ে মাঝারি সক্ষমতার সার্জারি কার্যক্রম নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার নেটওয়ার্ক। এমন মজবুত অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাত্রার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনবল বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম ইত্যাদি উন্নয়নমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। দেশের ৯৯ ভাগ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিসেবার ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা এবং পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচীর (এইচপিএনএসডিপি) তৃতীয় পর্যায়ের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং চতুর্থ পর্যায়ে টাকার অঙ্কে কর্মসূচীর আকার দুই গুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উপ খাতসমূহের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। এই কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য হলো জনগণের বিশেষ করে মহিলা, শিশু এবং সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেবা প্রাপ্তির চাহিদা বৃদ্ধি, কার্যকর সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য এবং স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেবা সমূহের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস, রোগের প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যুর হার হৃাস এবং পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা। স্বাস্থ্য বিষয়ক সহস্রাব্দ অর্জনে বাংলাদেশের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। অনুর্ধ ৫ শিশু মৃত্যুর হার ১৯৯০ সালের তুলনায় ৭১ ভাগ কমে এমডিজি ৪ অর্জিত হয়েছে। গ্রাম এলাকার প্রতিদিনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সব পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে। এসব চলমান উদ্যোগসমূহের যথাযথ বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য খাতের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো দরকার বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, জনস্বাস্থ্যের সবদিক বিবেচনায় রেখে বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়ানোর পাশাপাশি দূর করতে হবে বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। আর ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন (নিরাময়মূলক) ও সামাজিক উপাদান (প্রতিরোধমূলক) উভয়কেই সমান গুরুত্ব দিয়ে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোকে পাবলিক পার্টনারশিপ করে দরিদ্রদের সেবার সুযোগ বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে রোগীদের যাতে ভ্যাট দিতে না হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। আর বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক সময়ে ছাড় এবং তা বাস্তবায়নে সৃষ্ট অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি দূর করতে হবে।
×