ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শনির দশায় ত্রিভুবন বিমানবন্দর

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২১ এপ্রিল ২০১৮

শনির দশায় ত্রিভুবন বিমানবন্দর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইউএস-বাংলা ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার ক্ষত না শুকাতেই ফের কাঠমান্ডুর সেই ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবার অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বিমানের ১৩৯ যাত্রী। ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে মালিন্দো এয়ারলাইন্সের একটি বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমানটি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর শুক্রবার বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়। এ নিয়ে নেপালের একটি অনলাইনে তাক্ষণিক সংবাদ বের হয়- শনির দশা লেগেছে ত্রিভুবনে। জানা গেছে, চাকা পিছলে উড়োজাহাজটি ছিটকে পড়লেও বড় ধরনের কোন বিপত্তি বাধেনি। কেউ এই ঘটনায় হতাহত হয়নি। মালিন্দো এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান-৭৩৭ বিমানটির চাকা কাদার মধ্যে আটকা পড়ে। দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজটি সেখান থেকে সরানোর জন্য সে সময় বিমানবন্দরে অন্যান্য বিমানের উঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। এতে বাইরে থেকে যেসব ফ্লাইট ওই বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল সেগুলো অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। তবে কত সময়ের জন্য ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ার ওই বিমানটি কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের সময় সমস্যার মুখোমুখি হন বিমানের পাইলট। বিমানটি ছিটকে রানওয়ে থেকে ৩০ মিটার দূরে কাদার মধ্যে আটকে যায়। প্রেমনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, বিমানের সব আরোহীই নিরাপদে আছেন। তবে কি কারণে এ ধরনের সমস্যা হলো সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য, মাত্র একমাস আগেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তুর্কীস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ওই একই বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে চারদিন ধরে বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়। এখনও সেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুই হয়নি। অবশ্য প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটিতে কোন ধরনের ত্রুটি ছিল না বলে দাবি করা হয়।
×