ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গারা নতুন করে আতঙ্কে

রাখাইনের রাচিদংয়ে পুলিশ প্রধান হত্যা নিয়ে ফের যৌথ অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২১ এপ্রিল ২০১৮

 রাখাইনের রাচিদংয়ে পুলিশ প্রধান হত্যা নিয়ে ফের যৌথ অভিযান

মোয়াজ্জেমুল হক /এইচএম এরশাদ ॥ এবার রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাচিদং (রাথিদং) শহরে সেখানকার এক পুলিশ প্রধানকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। ফলে রাচিদং শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা নতুন করে আতঙ্কে রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গারা তাদের চলাফেরা সীমিত করেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফিরে শঙ্কার মধ্যে রাত যাপন করছে। এছাড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুরুষ সদস্যরা ঘর ছেড়ে অনেকে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে ওপারের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, রাচিদংয়ের পুলিশ প্রধান লে. থেইন সিওয়ে। গত মঙ্গলবার সন্দেহজনক এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে থেইন সিওয়ে তার দলবল নিয়ে অভিযানে নামেন। রাচিদংয়ের কিয়াউক ত্যান গ্রামে পৌঁছার পর সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে থেইন সিওয়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পর প্রাণ হারান। অভিযানে তার সঙ্গে অপর দুই কর্মকর্তা অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনাটি কারা করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তা এখনও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। তবে সন্দেহের তীর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দিকে। ফলে শুরু হওয়া অভিযানে আবারও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা নির্যাতনের কবলে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ আশঙ্কা নিয়েই পুরুষ সদস্যদের অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এদিকে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গা শিবিরে বিদেশী নাগরিকদের অবৈধ আনাগোনা বন্ধ করা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গা শিবিরে অননুমোদিতভাবে কোন বিদেশী যাতায়াতের ওপর সরকার নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার পরও তা মানা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গা শিবির থেকে ১৬ বিদেশী নাগরিককে র‌্যাব আটক করার পর মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ৯, যুক্তরাজ্যের ৫, জার্মানীর ২ নাগরিক। এদের মধ্যে ১১ জন হেলথ দা নিডি নামের একটি এনজিও সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে। র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন জানান, এসব বিদেশী নাগরিক ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসেছে। রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করার কোন অনুমতি নেই। এরপরও তারা টেকনাফ-উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে নানা কর্মে লিপ্ত ছিলেন। আটকের পর এদের অনুমতিপত্র চাওয়া হলে এসব বিদেশী নাগরিক কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
×