ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘটছে প্রাণহানি

চার বছর দাঁড়িয়ে আছে সেতু ॥ নৌ চলাচল ব্যাহত

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২০ এপ্রিল ২০১৮

চার বছর দাঁড়িয়ে আছে সেতু ॥ নৌ চলাচল ব্যাহত

সংবাদদাতা, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ, ১৯ এপ্রিল ॥ চৌহালীতে যমুনার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা মিটুয়ানী ব্রিজটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ৪ বছর আগে যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ব্রিজের সংযোগ সড়কসহ মিটুয়ানী গ্রাম। এরপর থেকে নদীর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজের সঙ্গে যাত্রীবাহী নৌকার ধাক্কা লেগে ঘটেছে প্রাণহানি, ব্যাহত হচ্ছে নৌ চলাচল। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই ব্রিজটি অপসারণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নৌপথের যাত্রী ও চালকদের। স্থানীয়রা জানায়, যমুনা বিধ্বস্ত চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এক যুগ আগে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের মিটুয়ানী বাজার সংলগ্ন প্রায় ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে গার্ডার ব্রিজটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু ২০১৪ সালের বন্যায় যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে মিটুয়ানী বাজার, গার্ডার ব্রিজের সংযোগ সড়ক, সাড়ে ৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তাসহ বিশাল এলাকা বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে নদীর পূর্বপাড় হতে ব্রিজটি আধা কিলোমিটার ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে। দক্ষিণাঞ্চলের দীর্ঘ পাকা সড়ক নদীতে চলে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য নৌপথই এখন একমাত্র ভরসা। মিটুয়ানী থেকে সম্ভুদিয়া পর্যন্ত নৌ সার্ভিস চালু হওয়ায় অন্তত ১২টি নৌকায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের সিলেট, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, ভুয়াপুরে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল করে এ পথে। ব্যস্ততম এ নৌপথের মাঝে বিশাল আকৃতির এ ব্রিজটি দাঁড়িয়ে থাকায় প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নৌকার চালক ও যাত্রীদের। নৌকার মাঝি রুহুল আমিন ও সাদেক আলী বলেন, মিটুয়ানী ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই বছর আগে ৯ জন নিহতসহ বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ছিল। ব্রিজটি দ্রুত অপসারণ করে নিরাপদ নৌ যোগাযোগ চালুর দাবি জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিকট আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী বলেন, মিটুয়ানী গার্ডার ব্রিজটি এখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত অপসারণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
×