ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যাশা চীনের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও স্থিতিশীল হবে

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২০ এপ্রিল ২০১৮

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও স্থিতিশীল হবে

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘœ ও স্থিতিশীল হবে বলে প্রত্যাশা চীনের। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল হবে বলেও মনে করে দেশটি। এছাড়া পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের লক্ষ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ শীঘ্রই ঋণ চুক্তি সই করবে। বৃহস্পতিবার রাজধানী গুলশানের চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার লি গুয়াং জুন এসব কথা বলেন। ‘চীনা আন্তর্জাতিক আমদানি প্রদশর্নী ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সহযোগিতা’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চীনা দূতাবাস। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলার লি গুয়াং জুন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি। আশা করি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল ঘটাবে। লি গুয়াং জুন বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। ইতোমধ্যে চীন বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। তাই এখানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ থাকবে। তিনি বলেন, আগামী নবেম্বরে চীনের সাংহাই শহরে আন্তর্জাতিক আমদানি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রদর্শনী বিশ্বের জনগণের ভাল মানের পণ্য সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সব দেশ একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। বলা যেতে পারে এটি একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে সবাই স্বাগত। এখানে শুধু চীনের পণ্য নয়, বিশ্বের যে কোন দেশের পণ্য প্রদর্শন করা যাবে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার বলেন, ২০১৮ সাল চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীনে এই বছর নির্বিঘেœ নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে যোগ্যতা অর্জন করায় শুভেচ্ছা জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, চীনের সরকার বাংলাদেশে বেসরকারী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে থাকে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বেশ কিছু সমঝোতা হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টের সময় হওয়া সমঝোতার অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে লি গুয়াং জুন বলেন, সমঝোতা কোন চুক্তি নয়। সমঝোতা হলো দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে একটি মানসিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রত্যয়। তবে দুই দেশের সম্পর্কে বাণিজ্য একটি বড় ইস্যু। এখন বছরে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চীন থেকে আমদানি করে ১৫ বিলিয়ন ডলার আর চীন বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে এক বিলিয়ন ডলার। চীন কাউকে বাধ্য করে না এ বৈষম্যের জন্য। এটি বাজারের কারণে হয়ে থাকে। যেখানে যেমন চাহিদা সেভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। এই বাণিজ্যিক বৈষম্য সহজেই কমবে বলে আমি মনে করি না, তবে চীন বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করবে। চীনের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানির বিষয়ে তিনি বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের রফতানি বাড়ছে। কারণ চীনে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দিন দিন বাড়ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার আরও বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য বিশ্ব বাজারে ছড়াতে চীনের বিনিয়োগ পাবে।
×