ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাজীপুরে চারদিন আটকে রেখে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

গাজীপুরে চারদিন আটকে রেখে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় গার্মেন্টস কর্মী এক কিশোরীকে পহেলা বৈশাখের দিন অপহরণ করেছে বখাটেরা। পরে তাকে চারদিন আটক রেখে তারা গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে মুমূর্ষুাবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ বুধবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গণধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী ও স্বজনরা জানান, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কালার মাস্টারবাড়ী এলাকার এক গার্মেন্টস কারখানার চাকরি করার সময় বান্ধবীর মাধ্যমে শ্রীপুর উপজেলার আবদার গ্রামের বখাটে যুবক শামীমের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। পরিচয়ের জের ধরে শামীম কিছুদিন ধরে ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিশোরী তাতে সাড়া না দেয়ায় তাকে অপহরণ ও খুন করার হুমকি দেয় শামীম। উপায়ান্তর না দেখে কিশোরীটি চাকরি ছেড়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মধ্য ভূরুলিয়া এলাকায় খালার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে থাকে। শনিবার পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে বাড়ি থেকে বের হলে ওই কিশোরীকে প্রাইভেটকারে তুলে হাত-মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায় শামীম তার সহযোগীরা। অপহৃতকে শ্রীপুরের আবদার গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে চারদিন আটকে রেখে শামীম ও তার সহযোগী জুয়েলসহ পাঁচ বখাটে যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মেয়েটি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ধর্ষণের পরে অপহৃতার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ও মুখে কাগজ গুজে ঘরের এক কোণে ফেলে রাখত। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বখাটেরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ ঘটনা জানতে পেরে যুবকদের অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেলে কৌশলে ওই কিশোরী ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ গণধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
×