ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১৮ এপ্রিল ॥ কলেজছাত্র দীপ্ত পাল হত্যা মামলায় ১৪ আসামির যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নজমুল হুদা তালুকদার আসামিদের বিরুদ্ধে এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তরা হচ্ছেনÑ কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা গ্রামের মাঈন উদ্দিন মানু, রামগঞ্জের লামচর গ্রামের রশিদ, কামরুল ইসলাম রাজু, কালুপুর গ্রামের হোসেন, রসুলপুর গ্রামের সালেহ আহমেদ সুজন, মাঝিরগাঁও গ্রামের সাইফুল ইসলাম সুমন, করপাড়া গ্রামের কামাল, মঞ্জুর আলম, গাজীপুর গ্রামের মহসিন, বদরপুর গ্রামের কামাল হোসেন, সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মিলন হোসেন, ফারুক, চরলামচী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের সাহেদুর রহমান কিরণ ও উত্তর বাঞ্চানগর গ্রামের অহিদুর রহমান। উল্লেখ্য, সদর উপজেলার মধ্য হামছাদী গ্রামে ২০১১ সালের ২ জুলাই রাতে পুলিশ পরিচয়ে মুখোশধারী ২০-২৫ জনের একদল ডাকাত ব্যবসায়ী কার্তিক পালের ঘরে ঢোকে। ডাকাতরা এ সময় অস্ত্রেরমুখে পরিবারে সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুটে নেয়। এতে বাধা দিলে ব্যবসায়ীর ছেলে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র দীপ্ত পাল ও তার মেঝো ভাই সঞ্জয় পাল কাঞ্চনকে মারধর করে ডাকাতরা। চিৎকারের এক পর্যায়ে ডাকাত দল দুইজনকেই গুলি করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনলে দীপ্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অপর গুলিবিদ্ধ কাঞ্চনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কার্তিক পাল বাদী হয়ে পরদিন অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গাজীপুরে ভাইয়ের ফাঁসি স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বোন হত্যা মামলায় তার চাচাত ভাইকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। রায়ে একই সঙ্গে আসামিকে অপর একটি ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামি রেজাউল হায়দার বকুল পূবাইলের নয়ানীপাড়া এলাকার মৃত জামির উদ্দিনের ছেলে। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল এলাকার আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী রহিমা খাতুনের সঙ্গে তার চাচাত ভাই রেজাউল হায়দার বকুলের জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১০সালের ৩ নবেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রহিমা খাতুনের ছেলে সোলেমান টর্চলাইট নিয়ে নদীর পাড়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে বসে থাকাবস্থায় অভিযুক্ত রেজাউল হায়দার ও তার সঙ্গীদের ওপর টর্চলাইটের আলো পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউল হায়দার নিহতের ছেলে সোলেমানকে মারধর করে। পরে রেজাউল হায়দার বন্দুক নিয়ে নিহত রহিমার বসতবাড়িতে হামলা করে। এ সময় হায়দারের বন্দুক থেকে নিক্ষিপ্ত গুলি রহিমার গলায় লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। নাটোরে দুজনের মৃত্যুদ- নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, মায়া খাতুন (১১) নামে একটি শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দু’জনকে মৃত্যুদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুর ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলোÑ নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের টিপুর ছেলে মোবারক হোসেন ওরফে কালু (২৪) ও একই উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মিঠুন (২৫)। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মায়া খাতুনকে মোবারক হোসেন লজেন্স খাওয়ানোর কথা বলে বারনই নদী সংলগ্ন আম বাগানে নিয়ে যায়। এরপর সাজাপ্রাপ্ত দুইজন মিলে মায়াকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। না’গঞ্জে দুই জঙ্গীর ২০ বছর করে দ- স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবির) দুই সদস্যকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দ-প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৭ আদালতের বিচারক মোঃ আব্দুল হান্নান এ রায় প্রদান করেন। জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা বিভাগের মেজর আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল টাঙ্গাইল জেলার বায়না বাইপাস সড়কে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ জেএমবি সদস্য সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে র‌্যাব সদস্যরা ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি তাকে নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলার কোনাবাড়ি এলাকায় মফিজুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি ১৯টি হ্যান্ড গ্রেনেড বডি এবং ৩১ প্যাকেট পাওয়ার জেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় র‌্যাবের তৎকালীন ডিএডি আবদুস সালাম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন।
×