ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাহেদুল ইসলাম সমাপ্ত

মানসিকতার পরিবর্তন

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

মানসিকতার পরিবর্তন

দেশে পারিবারিক সহিংসতার পরিমাণ বাড়লেও পারিবারিক সহিংসতাকে সমাজে অনেকেই ব্যক্তিগত বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। স্বীকারই করতে চান না এটি একটি অপরাধ। সরকার ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০ প্রণয়ন করেন। তবে প্রচারের অভাবে এখনও অধিকাংশ মানুষ এই আইন সম্পর্কে জানেন না। এ অবস্থায় পারিবারিক সহিংসতার প্রতিকার খুবই দুরূহ। ফলে নারী নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বাড়ছেই। এছাড়া আমাদের দেশের সহিংসতার শিকার নারীরা মামলা করেন না নিরাপত্তা ও মান-সম্মানের ভয়ে। ফলে সহিংসতার ঘটনাগুলো প্রকাশ না পাওয়ায় আইন থাকলেও সুফল মিলছে না। প্রতিটি জেলায় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে এ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা জানেন না, পারিবারিক সহিংসতার ঘটনার ক্ষেত্রে কী করতে হবে। অধিকাংশ এলাকায় এই আইনের আওতাধীন মামলাগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের আওতায় চলে যায়। জেলা পর্যায়ে কিছু নারীবান্ধব পুলিশ স্টেশন থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে একবারেই নেই। এছাড়া প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় পুলিশ স্টেশন, সরকারের মহিলাবিষয়ক অফিস ও হাসপাতাল সব জায়গায় নারীকেই প্রথমে দোষারোপ করা হয়। গ্রামে সালিশের মাধ্যমে পারিবারিক সহিংসতার কিছু মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। এখানে শাস্তি হয় খুবই লঘু প্রকৃতির। তাই এ ধরনের সালিশ ব্যবস্থার প্রতি ভুক্তভোগীর আস্থা ও নিরাপত্তার অভাব থাকে। পারিবারিক সহিংসতার প্রতিকার পাওয়ার জায়গাগুলো থেকে মনে করা হয় যে পারিবারিক সহিংসতা একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং এটি কোন অপরাধ নয়। লালমনিরহাট থেকে
×