ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে ৬ বাংলাদেশীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে ৬ বাংলাদেশীর মৃত্যু

বিডিনিউজ ॥ সৌদি আরবের হাইল জেলার হোলাইফা শহর এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৬ বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার স্থানীয় সময় ভোরে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে প্রবাসী বাংলাদেশীরা জানিয়েছেন। এই অগ্নিকাণ্ডে ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) ফখরুল ইসলাম। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর গ্রামের মরহুম আবদুল হকের দুই ছেলে এমরানুল হক সোহেল (৩৪) ও ইমামুল হক মুন্না (২২), লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার করইতোলা বাজার সংলগ্ন চর লরেঞ্জ গ্রামের নেছার আহম্মদের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৬), তার ছোট ভাই মোঃ ইব্রাহিম (২৩), চৌদ্দগ্রামের গুণবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ সোহেল (৩০)। নিহত আরেকজন ফেনীর বিরিঞ্চি এলাকার ইলিয়াস মেম্বারের বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে মহিউদ্দিন রাশেদ (৩৫)। অগ্নিদগ্ধ দেহগুলো পুড়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর সরওয়ার আলম। হাইল থেকে প্রবাসী বাংলাদেশী আজিজ উল্লাহ সেলিম বলেন, সিগারেটের ধোঁয়া থেকে এই আগুনের সূত্রপাত বলে তারা জানতে পেরেছেন। আহত বাংলাদেশীকে হাইল কিং ফাহাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান সেলিম। গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ছয় বাংলাদেশী নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। কুমিল্লার তিনজনের মৃত্যু ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, থেকে জানান ১৮ এপ্রিল ॥ সৌদি আরবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের দুই সহোদরসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আবদুল হকের ছেলে এমরানুল হক সোহেল (৩৪), ইমামুল হক মুন্না (২২) ও গুণবতী ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (৩০)। চৌদ্দগ্রামের আরও একজনের মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মৃত্যুর খবর শুনে দুপুর থেকেই তাদের মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজন আহাজারি করছেন। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাতিসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন টিপু। তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবের হাইল জেলার হোলাইফা শহর এলাকায় চাকরি করত এমরানুল হক, মুন্না ও সোহেল। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাতের খাবার রান্না ও খাওয়া শেষে একই রুমে সাত বাংলাদেশী ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ করে বুধবার ভোরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চৌদ্দগ্রামের চারজন, নোয়াখালীর দুইজন ও ফেনীর একজন। এ দিকে বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের দুই সহোদর এমরানুল হক সোহেল ও ইমামুল হক মুন্নার মা সেলিনা বেগম বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন।
×