ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জেলেকে পিটিয়ে মারার গুজব, বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

জেলেকে পিটিয়ে মারার গুজব, বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৮ এপ্রিল ॥ দৌলতখানে পুলিশের পিটুনিতে এক জেলে নিহত হওয়ার গুজবকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তেজিত জেলেরা বিক্ষোভ মিছিল করে দৌলতখান থানা ও ইউএনও অফিস ঘেরাও করার চেষ্টা করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা থানা পুলিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দৌলতখান বাজার, থানার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতখান মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরার অপরাধে মৎস্য বিভাগের অভিযানকালে ইউছুফ ও সইজল নামে দুই জেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এদের মধ্যে পৌর ২ নং ওয়ার্ডের আবদুল কাদেরের ছেলে ইউছুফের (৪৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রথমে দৌলতখান হাসপাতাল ও পরে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে জেলেরা। সইজল ও ইউছুফের স্বজনরা জানান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান বুধবার বিকেলে পুলিশ নিয়ে পাতার খাল ঘাট দিয়ে মেঘনায় অভিযানে বের হন। এ সময় নদীতে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে কয়েকজন জেলে মাছ ধরছিল। মৎস্য কর্মকর্তা ধাওয়া করে জেলেদের আটক করে মারধর করায় জেলে ইউছুফ ও সইজল গুরুতর আহত হন। এক পর্যায়ে ইউছুফ মারা যাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জেলেরা অভিযানকারী নৌকাটি পুড়িয়ে দেয়। পরে দৌলতখান হাসপাতালের সামনে পুলিশ কনস্টেবল মজিবুরকে পেয়ে জেলেরা নাজেহাল করে। বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার দিকে কয়েক শ’ জেলে সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে থানা ও ইউএনও অফিসের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান, দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন। দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, একটি মহল ইউছুফের মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ইউছুফকে মূলত মারধর করা হয়নি। অভিযানকালে ধাওয়া করলে ইউছুফ নৌকা থেকে পড়ে যায়। তাকে নদী থেকে নৌকায় তোলার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভোলা সদর হাসপাতালে সে এখন সুস্থ আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
×