ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেটারদের ‘ফুটবল’ খেলায় বিধি নিষেধ বিসিবির!

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

ক্রিকেটারদের ‘ফুটবল’ খেলায় বিধি নিষেধ বিসিবির!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফুটবল খেলতে গিয়ে একের পর এক ইনজুরি হচ্ছে। তামিম ইকবালের পর মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন ও সর্বশেষ মুশফিকুর রহীমও ইনজুরিতে পড়েছেন। আর তাই ক্রিকেটারদের ‘ফুটবল’ খেলায় বিধি নিষেধ আসছে। মঙ্গলবার বিসিবির নির্বাচক কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নুই যেমন বললেন, ‘এটা (ফুটবল) নিয়ে অবশ্যই বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে। কারণ অধিকাংশ প্লেয়ারেরই ফুটবল খেলতে গিয়ে ইনজুরি হচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দ্রুতই তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।’ অনুশীলনে নামার আগে গা গরম করার জন্য ফুটবল খেলাকেই শুরুতে বেছে নেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু গা গরম করতে গিয়ে অনেক সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে পড়েন ক্রিকেটাররা। আর এতেই বিপদ আসে। সেই বিপদ ইনজুরিতে রূপ নেয়। তাতে করে মাঠের বাইরে দীর্ঘদিন একটা সময় থাকতে হয়। এর আগে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ইনজুরি তো বলে-কয়ে আসে না। খেলতে গেলে হতেই পারে। তবে অনেক সময় ক্রিকেটাররা ক্রিকেট খেলার চেয়ে ফুটবল বা অন্যান্য খেলা খেলতে গিয়ে নিজেদের বেশি ইনজ্যুর করে। এটার বেশ কিছু কারণ আছে। ওরা ক্রিকেটে স্কিলফুল, কিন্তু ফুটবলে তো স্কিলফুল না। স্কিলের অভাব থাকে। পাশাপাশি সবাই সমমানের ফুটবলার না। কাজেই ঘাটতির জায়গা আছে। নিয়ম-কানুনের ব্যাপার আছে। গা গরমে যে ফুটবল খেলা হয়, সেখানে নিয়ম-কানুন তেমনভাবে মানা হয় না। এ জন্য ইনজুরি বেশি হয়। ক্রিকেটারদের দেখা যায় ফুটবল খেলাটাকে গা গরম হিসেবে না নিয়ে আরেকটা খেলা হিসেবে নেয়। এই মানসিকতা খারাপ। মনে রাখতে হবে এই ফুটবল খেলাটা গা গরমের জন্য, গোল করার জন্য নয়। সবাইকে পাস দেয়া, ছুটোছুটি করা এসবের জন্য খেলা উচিত। কিন্তু অনেক সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে আসে। তখনই এসব ঘটে যায়।’ সঙ্গে যোগ করেছিলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই মূল খেলা থেকে বের হয়ে ক্রিকেটাররা অন্য খেলা খেলুক। সেটা টেনিস হতে পারে, গলফ বা ব্যাডমিন্টন হতে পারে। টেবিল টেনিস হতে পারে। শারীরিক সাংঘর্ষিক যেন না হয়। যা নিরাপদ ও স্কিল বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু দ্বিতীয় স্পোর্টস হিসেবে ফুটবলের মতো শারীরিক সাংষর্ষিক স্পোর্টস বেছে নিলে ইনজুরির শঙ্কা বাড়ে।’ ফুটবল খেলতে গিয়ে ইনজুরির শুরুটা হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে মুস্তাফিজকে দিয়ে। পার্লে অনুশীলনে নামার আগে গা গরমের জন্য ফুটবল খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের পর সিরাজগঞ্জে ছুটির অবসরে ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন নাসির হোসেন। এবার মুশফিকও একই পথের পথিক হন। বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডে সেঞ্চুরি করার পর অনুশীলনে উত্তরাঞ্চলের সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে তিনি বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট পান। তিন সপ্তাহ মুশফিককে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ফুটবল খেলার জন্য যেহেতু এত ইনজুরি হচ্ছে। তাই ক্রিকেটারদের ‘ফুটবল’ খেলাতেই বিধি নিষেধ আসছে।
×