ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোহলিকেও নাড়িয়ে দিয়ে গেছে হতভাগ্য আসিফা

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

কোহলিকেও নাড়িয়ে দিয়ে গেছে হতভাগ্য আসিফা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আট বছরের শিশুকন্যা আসিফা বানুকে গণধর্ষণের পর হত্যাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে উত্তাল জম্মু-কাশ্মীর। এরই মধ্যে স্থানীয় দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। কাশ্মীরের ক্ষোভ এখন গোটা ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে সাধারণত এসব বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায় না। আসিফার করুণ পরিণতিতে সেই তিনিও চুপ থাকতে পারেননি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) চলাকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে অত্যন্ত কঠোর ও আবেগঘন ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নিজেকে একজন পুরুষ বলে পরিচয় দিতেও লজ্জাবোধ হচ্ছে উল্লেখ করেন আধুনিক ক্রিকেটের সুপারম্যান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে লেখা খোলা চিঠিতে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকরের বাল্যবন্ধু ও সাবেক ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি। ‘এরকম একটা ঘটনা দেখা এবং তারপরও নির্লিপ্ত থাকা কাপুরুষতা। সেই সমস্ত মানুষের পুরুষ বলে পরিচয় দিতেই লজ্জা করা উচিত। আমার একটাই প্রশ্ন আছে। ঈশ্বর না করুন যদি আপনার বাড়ির কারও সঙ্গে এমন হতো, আপনারা কী চুপ করে দেখতেন? নাকি সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েেতন?’ ভিডিওবার্তায় বলেন কোহলি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেয়া হয়। সকলে নীরব থাকেন এবং ভাবেন, এটা খুব স্বাভাবিক। একজন মেয়ে ছোট পোশাক পরলেই নাকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে! আরে, এটা ওই মেয়েটির জীবন, ওর সিদ্ধান্ত, ওর পছন্দ। পুরুষরা যদি মনে করে এটা তাদের অপকর্ম করার এবং বিচার থেকে বেঁচে যাওয়ার সুযোগ বাড়াচ্ছে এবং যারা ক্ষমতায় রয়েছেন, তারা যদি আড়াল করার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটা ভয়ঙ্কর। আমি স্তম্ভিত। নিজেকে এই সমাজের অংশ মনে করতে লজ্জা লাগছে।’ ভারত এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে ভয়ানক সব নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে একযোগে মাঠে নামেন রাজনৈতিক থেকে শুরু করে বলিউড-ক্রিকেট জগতের তারকারা। জম্মু-কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে লাগাতার কয়েকদিন ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় যথারীতি ফুঁসে উঠেছে ভারতের ক্রিকেটাঙ্গন। তীব্রভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শচীনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক ক্রিকেটার কাম্বলি লিখেছেন, ‘প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি রাতারাতি মুদ্রা বদলে ফেলতে পারেন। রাতারাতি ট্যাক্স আদায়ের সিস্টেম পরিবর্তন করতে পারেন। সরকারও বদলে দিতে পারেন রাতারাতি। এখন যদি আপনি এই জঘন্য ধর্ষণের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে না পারেন, ধর্ষকদের যদি সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারেন, তবে আমিও কিন্তু রাতারাতি আমার ভোট বদলে ফেলব। ২০১৯ কিন্তু বেশি দূরে নয়...। ইতি : আপনার আস্থাভাজন (অথবা নয়) একজন ভোটার (কেটে লেখা) একজন ইন্ডিয়ান।
×