ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যুক্তিতর্ক অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যুক্তিতর্ক অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্পর্শকাতর ও বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আজ বুধবার। মঙ্গলবার আসামি মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ করেন তার আইনজীবী মাঈনুদ্দিন মিয়া ও এসএম শাহজাহান। যুক্তিতর্কে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, আসামি মাওলানা শওকত ওসমান কোনভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। রাষ্ট্রপক্ষ তার মক্কেলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এরপর মামলার আসামি পুলিশের সাবেক খোদা বক্স চৌধুরীর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শুরু করেন তার আইনজীবী এসএম শাহজাহান। এ যুক্তিতর্ক পেশ অসমাপ্ত রয়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। মঙ্গলবার ছিল যুক্তিতর্কের ৬৮তম দিন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চীফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান, এ্যাডভোকেট আকরাম উদ্দিন শ্যামল, এ্যাডভোকেট মোঃ আমিনুর রহমান, এ্যাডভোকেট আবুল হাসান জিহাদ। এ পর্যন্ত ৩১ জন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এর আগে গত ১ জানুয়ারি মামলার আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক পেশ শেষ করা হয়। ঐদিন রাষ্ট্রপক্ষের চীফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান আইনি পয়েন্টে যুক্তিতর্কে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হতাহতের ঘটনায় আনা মামলার তারেক- বাবরসহ ৪৯ আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। মামলার সকল আসামির বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ স্বতন্ত্র, নিঃস্বার্থ, দালিলিক ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষীদের দ্বারা দেয়া সাক্ষ্যে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচার প্রার্থী মানুষের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আইনের বিধানের আলোকে আসামিদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করছি। ২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলায় পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। মামলার আসামি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছে। অন্যদিকে তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (এলপিআর) এটিএম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনও পলাতক। বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২২ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পতœী আইভি রহমান। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান।
×