ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণ জালিয়াতি মামলা

ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার ৬৮ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার ৬৮ বছরের কারাদণ্ড

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির পৃথক চার মামলায় একেকটি ১৭ বছর করে মোট ৬৮ বছরের কারাদ- হয়েছে ব্যাংকটির সাবেক পাঁচ কর্মকর্তার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া একটি করে মামলায় অপর ২ আসামির ১৭ করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে আসামিদের ৪ কোটি ২ লাখ টাকা অর্থদ- এবং এর মধ্যে ৪ কোটি টাকা আদায়পূর্বক রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দ-িত আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার পর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। রায়ে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- ব্যাংকটির প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মোঃ হারুন, সাবেক সিনিয়র এ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম মাহামুদ উল্লাহ, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিেিডন্ট মাহমুদ হোসেন, সাবেক ইভিপি মোঃ কামরুল ইসলাম এবং ইভিপি মোঃ ফজলুর রহমান। তাদেরকে দ-বিধির একটি ধারায় ১০ বছর করে এবং অন্য ধারায় ৭ করে কারাদ- দেয়া হয়েছে। ১৭ বছর করে কারাদ- পাওয়া দুই আসামি হলেন, মেসার্স নুর এ্যান্ড সন্সের মালিক তরিকুল ইসলাম ও মেসার্স আফাজ উদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক মোঃ সালাহ উদ্দিন। তাদের দণ্ডবিধির একটি ধারায় ১০ বছর করে এবং অন্য ধারায় ৭ করে কারাদ- দেয়া হয়। চার মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আফাজ উদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক মোঃ সালাহ উদ্দিন ইভানটেল এর মালিক মোশারফ হোসেন সবুজ, নুর এ্যান্ড সন্স এর মালিক মোঃ নুর আহমেদ এবং আনোয়ারা ইলেকট্রনিক নামের অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১ কোটি টাকা করে ঋণ প্রদান করে আত্মসাত করেন। ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ মতিঝিল থানায় মামলাগুলো দায়ের করেছিলেন। তদন্তের পর পৃথকভাবে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাগুলোয় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেন্বর আদালত চার্জগঠন করেন।
×