ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরেণ্য শিল্পী হাশেম খানের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৮

বরেণ্য শিল্পী  হাশেম খানের  জন্মদিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রং আর রেখায় তার সৃজিত চিত্রপটে উদ্ভাসিত হয় বাংলাদেশেরই মুখচ্ছবি। সেসব ছবি ছুঁয়ে যায় এদেশের মানুষের যাপিত জীবন থেকে শুরু করে নিসর্গ কিংবা ফুল, পাখিসহ উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতকে। শুধু ক্যানভাস বইয়ের প্রচ্ছদ বিন্যাসেও অনন্য এক শিল্পী তিনি। আজ সোমবার দেশবরেণ্য এই চিত্রশিল্পী হাশেম খানের ৭৮তম জন্মদিন। ১৯৪১ সালের ১৬ এপ্রিল তিনি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।। ৭৮তম জন্মদিনের আগে রবিবার এক বিবৃতিতে অনুভূতি ব্যক্ত করে হাশেম খান বলেন, ৭৭ বছরে পা দিয়ে বলতে চাই স্বাধীনতার চেতনায় সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত যে দেশটির স্বপ্ন অনেকদিন ধরে লালন করে এসেছি- তা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও মানবতা প্রতিষ্ঠাতার প্রবক্তা শেখ হাসিনা শত বাধাকে অতিক্রম করে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছেন। তার দেশ পরিচালনার দীপ্তি সময় কর্মসূচী ও সংগ্রামী অঙ্গিকারের সঙ্গে আগেও যেমন যুক্ত ছিলাম, বাকি দিনগুলোতেও একইভাবে কাজ করে যেতে চাই। দেশের আপামর জনতাকে তিনি উন্নয়ন ও শান্তির আলো দেখাতে সচেষ্ট। আসুন- আমরা শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির মানুষরা বাঙালীর প্রিয় নেতা শেখ হাসিনার সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থেকে তার হাতকে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর ও শক্তিশালী করে তুলি। হাশেম খানের পুরো নাম মোহাম্মদ আবুল হাশেম খান। তার বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ খান ছিলেন তৎকালীন কুমিল্লা জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মা নূরেন্নেসা খানম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৫৬ সাল থেকে চারুকলার প্রাতিষ্ঠানিক অনুশীলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন হাশেম খান। ১৯৬৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি চারুকলা ইনস্টিটিউটে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি চাঁদপুরের হাসান আলী হাইস্কুল থেকে ১৯৫৬ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা সরকারী চারুকলা অনুষদে (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ)। ১৯৬১ সালে চারুকলায় প্রথম বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বৃত্তি নিয়ে সিরামিকের ওপর গবেষণা করেন। ১৯৭৯ সালে বইয়ের প্রচ্ছদ ও নক্সার ওপর জাপানের টোকিওতে প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রিয়পাত্র। আওয়ামী লীগের পোস্টার, মঞ্চ, ব্যানারÑসবকিছুর নক্সা করতেন তিনি। হাশেম খান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’-এর জুরি বোর্ড ও বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমির আজীবন সদস্য। শিল্প ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হাশেম খান বেশ কিছু বই লিখেছেন। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র কর্তৃক বইয়ের ছবি আঁকার (প্রচ্ছদ ও ইলাস্ট্রেশন) শ্রেষ্ঠ শিল্পী হিসেবে তিনি ১৫ বার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে লাইপজিগ আন্তর্জাতিক বইমেলায় তার আঁকা বই পুরস্কৃত হয়। ১৯৯২ সালে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন।
×